বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

জার্মানিতে ডার্কনেটের সঙ্গে জড়িত নয়জনকে কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:৫৮ পিএম

জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের একটি আদালত ট্রাবেন ট্রাবাখ গ্রামে তথাকথিত সাইবার-বাংকারের অপারেটরদের কারাদণ্ড দিয়েছে৷ তারা ন্যাটোর সাবেক এক বাংকার থেকে অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ডার্কনেট প্লাটফর্ম পরিচালনা করেছিলেন৷

জার্মানির ট্রিয়ার শহরের এক আঞ্চলিক আদালত সোমবার একটি ডার্কনেট ওয়েব হাব পরিচালনার দায়ে আট ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছে৷ কেন্দ্রটির সার্ভারগুলো ব্যবহার করে অনলাইনে মাদক বিক্রি, অর্থের বিনিময়ে হত্যা, অর্থপাচার এবং শিশু নিগ্রহের ছবি আদানপ্রদান করা হয়েছে৷ জার্মানির রাইনল্যান্ড-পালাটিনাটে রাজ্যে অবস্থিত ন্যাটোর এক সাবেক বাংকারে সার্ভার বসিয়ে এধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন দণ্ডপ্রাপ্তরা৷ তাদের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই লাখের মতো অপরাধমূলক লেনদেনে সহায়তা করা ও উৎসাহিত করার অভিযোগ আনা হয়েছিল৷

অভিযুক্ত সাত পুরুষ এবং এক নারীর বিচারকার্য সম্পন্ন হতে এক বছরের মতো সময় লেগেছে৷ আদালত মূল অপরাধী হিসেবে ৬২ বছর বয়সি এক ডাচম্যানকে চিহ্নিত করেছে৷ তাকে সাড়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ ছয়জনকে দুই বছর চারমাস থেকে চার বছর তিনমাস অবধি নানা মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ আর অষ্টম ব্যক্তিকে এক বছরের স্থগিত কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷

প্রিসাইডিং জাজ গ্যুন্টার ক্যোহলার জানান যে প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে চক্রটি একটি ‘‘বুলেটপ্রুফ হোস্টার'' পরিচালনা করছিল যেটি এমন এক ডাটা সেন্টার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল যা তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের ধরাছোঁয়ার বাইরে৷

সাইবার অপরাধ নিয়ে জার্মানিতে পরিচালিত বড় মামলাগুলোর একটি ছিল এটি৷ এক্ষেত্রে কারা ডার্কনেট ব্যবহার করে অবৈধ পণ্য এবং সেবা নিচ্ছে সেদিকে গুরুত্ব না দিয়ে কারা এমন নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে সেদিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে৷ পাঁচ বছর তদন্তের পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গ্রামটিতে অভিযান চালিয়ে মাটির নীচে বাংকারে থাকা শক্তিশালী সার্ভারগুলো উদ্ধার করা হয়৷

যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহার করে ''ওয়াল স্ট্রিট মার্কেট'' ও ''ফ্রডস্ট্যারস'' এর মতো ডার্কনেট নেটওয়ার্ক পরিচালনা করা হয়েছিল৷ সার্ভার সেন্টারটিতে হোস্ট করা অবৈধ ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করে তথ্য চুরি এবং ভুয়া নথি তৈরি করা হতো৷ পাশাপাশি বড় ধরনের সাইবার হামলাতেও এটি ব্যবহার করা হতো৷

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের সেই অভিযানে জার্মানির কেন্দ্রীয় বিশেষ পুলিশ বাহিনী জিএসজি ৯ এর সদস্যসহ কয়েক শত পুলিশ অংশ নেন৷ লোহার দরজাযুক্ত মাটির নীচে পাঁচতলা অবধি বিস্তৃত ন্যাটোর সাবেক বাংকারটিতে অনুপ্রবেশে সক্ষম হয় তারা৷ ভবনটি একটি এক দশমিক তিন হেক্টরের সুরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত৷ অভিযানের সময় সেটির চারপাশে বেড়া এবং নজরদারি ক্যামেরা ছিল৷ সূত্র: ডিপিএ, এএফপি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন