ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের বিতর্কিত কর্মকান্ড ও দলীয় কাজে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বহির্বিশে^ ক্ষুন্ন হচ্ছে। এখান থেকে উত্তরণে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত ‘ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, বেগম খালেদা জিয়া এবং বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান শামীমের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নিলোফার চৌধুরী মনি, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
আহমেদ আযম খান বলেন, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে খ্যাতি পরিচিতি থাকলেও সেই অভিধা ঘুচিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিশ্বে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি দেশকে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় তার সহধর্মিণী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। দেশের সমৃদ্ধির জন্য তিনি অসংখ্য কাজ করেছেন। আজকে সেই নেত্রী মৃত্যুশয্যায়! তার চিকিৎসার জন্য আইন কোনো বাধা নেই। বাধা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অতীতে আমাদের সুপ্রিমকোর্ট দেশের বহু মহা সংকটে অসংখ্য সমাধান দিয়েছেন। আজকে খালেদা জিয়া মৃত্যু শয্যায় রয়েছেন। তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করা হোক। আদালত সুয়োমোটো রুল জারি করুক। তা না করলে ইতিহাস ক্ষমা করবেনা। নিলোফার চৌধুরী মনি বলেন, দেশের অবস্থা টালমাটাল। কারণ দীর্ঘদিন ধরে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় আছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে এই সরকার স্লোপয়জনিং করছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার আর রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন