নড়াইলে আলাদা দু’টি মাদক মামলায় ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার সকালে পৃথক দুইটি মাদক মামলায় নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। এর মধ্যে যশোরের চৌগাছা থানার হুদাপাড়ার জুয়েল রানা ও কারিগরপাড়ার জহুরুল ইসলামকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে তারা দু’জন পলাতক আছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ নভেম্বর সকালে নড়াইল গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নড়াইল সদরের চাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নড়াইল-যশোর সড়কে যানবাহন তল্লাশীকালে ইঞ্জিনচালিত করিমন গাড়িতে থাকা জুয়েল রানা ও জহুরুলের কাছ থেকে ২০২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দু’জনের নামে নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের হয়। তারা মাদক নিয়ে যশোর থেকে নড়াইলের দিকে আসছিল। এ সময় করিমনের সাথে থাকা যশোরের চৌগাছার কারিকর পাড়ার খোকন আহম্মেদ মন্ডলের পুত্র জুয়েল রানা ও চৌগাছার হুদাপাড়ার আহসান মোল্যার পুত্র জহুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরে নড়াইল সদর থানার এস আই খায়রুল মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামিদের অনুস্থিতিতে আসামিদ্বয়কে আমৃত্যু যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার এ রায় ঘোষণা করেন।
অপর মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ অক্টোবর বিকালের দিকে নড়াইল জেলা পুলিশের একটি দল নড়াইল সদরের যশোর-নড়াইল মহাসড়কের আবাদ নাম স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে মোবাইল ডিউটি করার সময় যশোর দিক থেকে আসা ইঞ্জিনচালিত আলম সাধু থামিয়ে তল্লাসীকালে চালকের সীটের নিচে টুল বাক্সের ভিতর থেকে ৫২ বোতল কোডিন মিশ্রিত ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ সময় যশোরের কোতয়ালীর খোজার হাট এলাকার কার্তিক দেবনাথ ও সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে। পরে নড়াইল সদর থানায় এসআই কিশোর মজুমদার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামির উপস্থিতিতে আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-াদেশ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদ-ের এ রায় ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন