শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

স্বামী ইফতেখার ফের রিমান্ডে

ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

ঢাবির নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মেঘলা চৌধুরী এলমাকে হত্যার অভিযোগে বনানী থানায় দায়ের করা মামলায় স্বামী ইফতেখার আবেদীনের ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন।পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল বনানী থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. সালাউদ্দিন ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করে ফের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে গত বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, ধারণা করছি, পারিবারিক কলহের জেরে মেঘলাকে হত্যা করা হতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও অন্যান্য তদন্ত চলছে। উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর বিকাল চারটার দিকে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মেঘলা চৌধুরী এলমার মারা যান। মেঘলাকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। মেঘলার পরিবার এটিকে হত্যা বলে দাবি করে। অপরদিকে মেঘলার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মেঘলা চৌধুরী এলমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী। তার স্বামী ইফতেখার আবেদিন কানাডা প্রবাসী।

সহপাঠী আরিফুল ইসলাম বলেন, মেঘলার বিয়ে হয় কানাডা প্রবাসী ছেলের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই তাকে অনেক বাধ্যবাধকতার মধ্যে রাখা হতো। তার কোনও মোবাইল ছিল না। সে পুরো আউট অব নেটওয়ার্ক ছিল। ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে আসতো শুধু। বিয়ের আগে আমাদের সঙ্গে অনেক আড্ডা দিতো। কিন্তু বিয়ের পর তাকে পাওয়া যেতো না। মোটকথা তাকে অনেক মানসিক নির্যাতনের মধ্যে রাখা হতো। স্বামীর নির্যাতনে মেঘলার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর তার স্বামী ইফতেখার দেশে আসেন। তারপর তাকে এমনভাবে নির্যাতন করা হয় যে, সে মারা যায়। তার শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। তা মোটেও আত্মহত্যার নয়। তাকে হত্যা করা হয়েছে। মেঘলাকে কয়েকদিন ধরে নির্যাতন করা হয় এবং তাকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে মেঘলার মা’ও আমাদের এমনটি জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন