বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পাকিস্তানের আহ্বানে আফগানিস্তানকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি মুসলিম দেশগুলোর

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:৩২ পিএম | আপডেট : ২:৩২ পিএম, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১

২০ বছর পর গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। এর পর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেয়। অবশ্য সরকার গঠন করলেও বিশ্বের কোনো দেশই এখনও পর্যন্ত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।

এদিকে ওআইসির ১৭তম বিশেষ সম্মেলনে রোববার তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মুসলিম দেশগুলো। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) সদস্যভুক্ত ৫৭ দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেন।


তালেবানের ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে দেশটিতে অর্থ সংকট আরও বহুগুণে বেড়েছে। দেশটির লাখ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নিয়ে দিনাতিপাত করছেন।

এ পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে বাঁচাতে মানবিক সহায়তা ফান্ড গঠন করে অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মুসলিম দেশগুলো। খবর দ্য ডনের।


রোববারের ওআইসি সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে আফগানিস্তানে লাখ লাখ মানুষ চরম দুর্দশার মধ্যে পড়বেন। আফগানিস্তান বিশৃঙ্খলার দিকে চলে যাবে।

এমনিতেই দশকের পর দশক ধরে যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান। গত আগস্টে তালেবান কাবুলের ক্ষমতাদখলের পর থেকে সেই পরিস্থিতি দিনে দিনে কেবল খারাপই হয়েছে।

আফগানিস্তানে বর্তমানে যা আর্থিক পরিস্থিতি, তাতে এই প্রবল শীতে লাখ লাখ মানুষ অভুক্ত থাকবেন। সেই মানবিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলো ওআইসির সদস্য দেশগুলো।

জাতিসংঘ সম্প্রতি তালেবানের পক্ষ থেকে ওই সংস্থাটিতে একজন প্রতিনিধি নিয়োগের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে আফগানিস্তানের বৈশ্বিক স্বীকৃতি আদায়ে তালেবান সরকারকে সহযোগিতা করছে পাকিস্তান।

মূলত পাকিস্তানের উদ্যোগেই রোববার ইসলামাবাদে আফগানিস্তান নিয়ে এই প্রথমবার এতো বড় আকারে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। এর আগে রাশিয়া ও ভারতের উদ্যোগে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সেটি ছিল রোববারের তুলনায় আকারে বেশ ছোট।

পকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি জানিয়েছেন, আফগনিস্তানের জন্য ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (আইডিবি) একটি ফান্ড খোলা হবে। তবে তার এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে নিশ্চিত নয়। কারণ আফগানিস্তানের আর্থিক সংকট বেশ প্রকট আকার ধারণ করেছে।

জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বৈশ্বিক অনেক সংস্থাই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলো আফগানিস্তানকে অর্থসাহায্য করার ক্ষেত্রে বিশেষ উৎসাহ দেখাচ্ছে না। কারণ অর্থ সাহায্য করলে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে মনে করছে তারা। ফলে তালেবানকে স্বীকৃতি না দেওয়া দেশগুলো শেষ পর্যন্ত কতটা সাহায্যের হাত বাড়াবে, তা স্পষ্ট হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
হানজালা ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৪:৫৪ পিএম says : 0
সন্ত্রাসী আমেরিকা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আটকে রেখেছে যার কারণে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে একথা বলতে কি শরম লাগে
Total Reply(0)
সৈয়দ নজরুল হুদা ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:২৭ পিএম says : 0
এত সহানুভূতি, পাকিস্তান কেনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছেনা?মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো স্বীকৃতি ও সাহায্যের হাত বাড়ালে আফগানিস্তান নিজেকে গুটিয়ে নিতে পাড়তো।আমেরিকা তাদের অর্থ আটকিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে।
Total Reply(0)
Nader Albird ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:৫৮ পিএম says : 0
যে আমেরিকা পৃথিবী জুড়ে মানবতার কথা বার্তা ছাড়ায় আজকে আমেরিকা পৃথিবী জুড়ে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে কিন্তু বাস্তবে কিছু কুলাংগার মিডিয়া সিন্ডিকেট তৈরি করে শরিয়া আইনের শাসন ব্যবস্থা বিরুদ্ধে কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরে না আমেরিকার ঘৃণিত কাজগুলো। কতটা নির্লজ্জের মতো আমেরিকা আফগানিস্থানের অর্থ আটকে রাখছে???এখন কেন মানবাধিকার সংগঠনগুলো সত্য কথা বার্তা উল্লেখ করছে না??? আফগানিস্তানের লোকজনের এই ধরনের অবস্থার জন্য আমেরিকা সবচেয়ে বেশি দায়ী।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন