মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পিছু হটছে টিগ্রে যোদ্ধারা, শান্তির ইঙ্গিত ইথিওপিয়ায়

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:০৬ পিএম

জাতিসংঘকে চিঠি দিয়ে টিগ্রে যোদ্ধারা জানিয়েছে, ইথিওপিয়ার সমস্ত এলাকা থেকে তারা যোদ্ধাদের টিগ্রেতে ফিরিয়ে নিচ্ছে।

গত ১৩ মাস ধরে ইথিওপিয়ার সরকারের সঙ্গে তীব্র লড়াই হয়েছে টিগ্রে যোদ্ধাদের। ইথিওপিয়ার সেনা টিগ্রে পুনর্দখল করার চেষ্টা করলেও তা টিগ্রে যোদ্ধা বা টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফোর্সের (টিপিএলএফ) হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে পারেনি। উল্টে টিপিএলএফ ইথিওপিয়ার রাজধানীর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। দেশের একাধিক জায়গা তারা দখল করে বসেছিল।

ডিসেম্বরের শুরুতে আমহারা অঞ্চলের মেজেজোর আশেপাশের পাহাড়ের যুদ্ধে টিগ্রেয়ান যোদ্ধারা পরাজিত হয়েছে বলে মনে করা হয়। তারা ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পাঁচ দিন ধরে লড়াই চলে। ব্যাপক যুদ্ধের মধ্যে মানুষজন গোলার শব্দে আতঙ্কিত হয়ে ঘরের ভিতরেই অবস্থান করছিলেন। এলাকাটিতে রাস্তার পাশে, মাঠে-ঘাটে পচনধরা মরদেহ পড়ে রয়েছে৷

সোমবার টিপিএলএফ প্রধান জাতিসংঘকে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, টিগ্রে ছাড়া দেশের বাকি সমস্ত অঞ্চল থেকে তারা টিপিএলএফ যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এটাই তাদের শান্তির পথে প্রথম পদক্ষেপ।

বস্তুত, টিপিএলএফ যেভাবে এলাকা দখল করছিল, তাতে আরও ্শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। সেনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে অস্ত্র হাতে রাস্তায় নামতে বলেছিলেন দেশের প্রধান অ্যাবে আহমেদ। চূড়ান্ত লড়াই শুরু হয়েছিল রাজধানীর খুব কাছে।

জাতিসংঘ, আফ্রিকার দেশগুলি এবং অ্যামেরিকা দ্রুত শান্তি ফেরানোর জন্য দুই পক্ষকেই অনুরোধ করছিল। মুখোমুখি বসে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আবেদন করা হচ্ছিল। সেই আহ্বানে প্রথম সাড়া দিল টিপিএলএফ। টিপিএলএফ জানিয়েছে, দুই দিনের মধ্যে সমস্ত যোদ্ধাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। বস্তুত, ঘোষণার পর একাধিক জায়গা থেকে যোদ্ধাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তবে এর পাশাপাশি টিপিএলএফের দাবি, ইথিওপিয়ার সেনাও টিগ্রেতে তাদের উপর আর আঘাত হানবে না। টিগ্রে ঘিরে কার্যত যে অর্থনৈতিক বয়কট তৈরি করেছে, তাও তুলে দিতে হবে। ইথিওপিয়ার কোনো প্রশাসক বা রাজনীতিক এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে তাদের উপরেও আন্তর্জাতিক চাপ আছে। ফলে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ পথে এগোচ্ছে বলেই মনে করছেন সকলে। সূত্র: রয়টার্স, এপি, এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন