অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা। কিন্তু পোল্যান্ড ও বেলারুশ তাদের সীমান্তে যেতে দিলো না। ইউনাইটেড নেশনস রিফিউজি এজেন্সি (এইউএনএইচসিআর)-এর মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রসেল জেনিভায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের প্রতিনিধিরা ওই অঞ্চলে ছিলেন। কিন্তু বেলারুশ তাদের সীমান্তে যেতে দেয়নি। তারা পোল্যান্ডের কর্মকর্তা, স্থানীয় কিছু গোষ্ঠী ও ৩১ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পেরেছেন। সীমান্তের ভয়ংকর অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে জেনেছেন। থ্রসেল বলেছেন, এটা মানবাধিকারের প্রশ্ন, দুই দেশেরই আন্তর্জাতিক আইন মানা উচিত। যাদের সঙ্গে তারা কথা বলতে পেরেছেন, তারা জানিয়েছেন, সীমান্তের দুই পারেই পরিস্থিতি বেশ খারাপ। খাবার, পানি, মাথার উপর ছাদ পাওয়াটাই সমস্যার। আর এই ঠাÐায় তারা প্রায় জমে যাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমরা দুই দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সীমান্তে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলাম। বলেছিলাম, অভিবাসীদের প্রতি এরকম ব্যবহার করা যাবে না। থ্রসেল বলেছেন, বেলারুশের নিরাপত্তা বাহিনী অভিবাসন প্রত্যাশীদের পথ দেখিয়ে সীমান্তে নিয়ে যায়। তারা সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে যেতে না পারলেও বেলারুশ আর তাদের ঢুকতে দেয় না। ফলে তাদের ওখানেই থাকতে হয়। তাদের নিয়মিত মারধর করা হয়। ভয় দেখানো হয়। তাদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানি দেয়ার জন্য পয়সা চাওয়া হয়। পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে যারা গেছেন, তারা মূলত মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ। তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে চান। ইইউ-র অভিযোগ, বেলারুশ সরকার তাদের সীমান্তে নিয়ে আসছে। এভাবে তারা ইইউ-র উপর চাপ তৈরি করছে। ইইউ তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকে এই কৌশল নিয়েছে বেলারুশ। এএফপি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন