পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ধানীসাফা ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় গত বুধবার রাতে মিজানুর রহমান বিপ্লব (৪০) নামের এক যুবলীগ নেতার বাম হাতের কব্জি এবং ডান হাতের ১টি আংগুল প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের আলগী বাজার সংলগ্ন মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার সাফা গ্রামের নূরউদ্দিন বেপারীর ছেলে বিপ্লব নৌকা মার্কার কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে। গুরুতর জখম বিপ্লবকে রাতেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ রাতেই ফরিদ নামের ১ জনকে আটক করেছে।
বিপ্লব ধানীসাফা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি। বিপ্লবের বড় ভাই বাচ্চু বেপারী ধানীসাফা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি।
ধানীসাফা ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি বাচ্চু বেপারী জানান, গত বুধবার রাতে বিপ্লব আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ তালুকদারের নৌকা মার্কার স্টিকার নিয়ে আলগী বাজারে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের সমর্থক আলগী গ্রামের ফরিদ আকনের নেতৃত্বে একদল লোক বিপ্লব বেপারীর ওপর হামলা করে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে ফেলে রাখে। স্থানীয় লোকজন আতংকে তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায়নি। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। বিপ্লবের হাতের কব্জির এবং ডান হাতের একটি আংগুলসহ মাথা, পিঠ ও দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের একাধিক জখম রয়েছে।
ধানীসাফা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ তালুকদার গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানান, বিপ্লবের হাতের কব্জি জোড়া লাগানো সম্ভব নয়। কব্জি ও একটি আংগুল ফেলে দিতে হবে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তার লোকজন বিপ্লবকে কুপিয়ে জখম করেছে তিনি অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উল্টো সন্ধ্যার পর করিম আকন স্কুল এলাকায় প্রচারণা চালানোর সময় তার কিছু লোকজনকে নৌকা প্রার্থীর লোকজন মারধর করে এবং তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীর আহমেদ জানান, বিপ্লবের মাথা, পিঠ ও দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। তার বা হাতের কব্জি অনেকাংশে কেটে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফরিদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন