ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আপন মামার নির্বাচনে এসে প্রতিপক্ষের হামলায় অস্ত্রের আঘাতে ডান হাতের ২টিআঙ্গুল হারালো ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। রবিবার বেলা ৩টার দিকে মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের গাংকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলার শিকার হয় তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ইউপি নির্বাচনে ইশিবপুর ইউনিয়নে গোলাম রাব্বানীর মামা সালাহ উদ্দিন আহমেদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। নির্বাচনে মামার পক্ষে বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। রবিবার ভোটগ্রহণ চলাকালীন ৭নং ওর্য়াডের গাংকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিপক্ষ মোশারফ মোল্লার লোকজন ভোট কেটে নেয়ার চেষ্টা করছে। এ খবর শুনে গোলাম রাব্বানী সেখানে গেলো মোশারফ মোল্লার ছেলে তার উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে গোলাম রাব্বানীকে ছুরি দিয়ে কোপ দেয়া হয়। এসময় রব্বানী ফিরাতে গেলে তার ডান হাতের দুইটি আঙ্গুল কেটে যায়। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষুদ্ধ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরো ৫ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা গোলাম রাব্বানীসহ আহতদের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে রব্বানীর হাতে সেলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এব্যাপারে গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে মোশারফ মোল্লার লোকজন প্রকাশ্যে ভোট নেয়ার চেষ্টা করেছিল। পরে আমিসহ কিছু লোক গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে আমাকে অস্ত্র দিয়ে কোপ দিলে ঠেকাতে গিয়ে হাত কেটে যায়। পরে তাদের লোকজন আমাদের শারিরীকভাবে আহত হয়। এ ঘটনার বিচার হওয়া উচিত। বিষয়টি নিয়ে আমি থানায় অভিযোগ করবো।’
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কেন্দ্রের ভিতর তেমন কোন কিছু হয়নি। কেন্দ্রের বাহিরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। ভোট সুষ্ঠু ও নিরাপদ ভাবে হয়েছে। কোন জাল ভোট বা ভোট কারচুপির ঘটনা ঘটেনি। বাহিরে কিছু হলে সেটা তো আমার দেখার বিষয় না।’
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. সাদিক বলেন, নির্বাচনে বিচ্চিন্ন কিছু ঘটনা ঘটতেই পারে। আমি এখনো রব্বানীর উপর হামলার কথা শুনেনি। তবে টুকটাক ঘটনা তো ঘটেছেই। থানায় অভিযোগ দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন