যশোরে দাবি আদায়ে ফের আন্দোলনে নেমেছেন শহরের হরিজনেরা। বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহে তাদের বাদ দেওয়ায় প্রতিবাদে রোববার তারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। এ কর্মসূচি থেকে পরিচ্ছন্নতা কাজে হরিজনদের নিয়োগ বাতিল করে ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনঃবহাল ও মৃত শ্রমিকদের আগের মতো ৩০ হাজার টাকা দেয়ারও দাবি জানানো হয়।
যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মতিলাল হরিজন জানিয়েছেন, হরিজনরা বাড়ি বাড়ি থেকে কিছু বকশিশের বিনিময়ে বর্জ্য সংগ্রহ করে থাকেন। কিন্তু এডিবি প্রকল্পের অজুহাত দেখিয়ে গত বছর পৌরসভা বাড়ি বাড়ি থেকে এনজিওকে বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়। এ খবর পেয়ে হরিজনরা ময়লা অপসারণ বন্ধ করে দেয়। বিক্ষোভ সমাবেশ করতে থাকে। এক পর্যায়ে পৌরসভার নতুন মেয়র হায়দার গণি খান পলাশের সাথে আন্দোলনকারীরা দেখা করলে তিনি তিন মাসের সময় নেন।
শ্রমিক নেতা মতিলাল হরিজন আরো বলেন, তিন মাস পার হলেও তাদের দাবি বিষয়ে চুপ রয়েছে পৌরসভা। শোনা যাচ্ছে আগের এনজিওদের সাথে চুক্তি বাতিল করে পৌর কাউন্সিলরদের তত্ত¡াবধানে নতুন করে অন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করতে যাচ্ছে। এতে পেশা সংকটে পড়তে যাচ্ছে হরিজনরা। শুধু তাই নয়; আগে মৃত শ্রমিকদের ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হতো। সেটা কমিয়ে ২০ হাজার দেয়া হচ্ছে। এজন্য তারা দাবি আদায়ে ফের রাজপথে নেমেছেন। বৃহস্পতিবার তারা পৌরসভা ঘেরাও করবেন।
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকসিমুল বারী অপু বলেন, যশোর পৌরসভার আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যাটের জন্য প্রতিদিন অন্তত ২৫ টন ময়লা প্রয়োজন। কিন্তু হরিজনদের সংগৃহিত বর্জ্য ১০ টনের বেশি না। হরিজনরা কাজে অবহেলা করে। মাস শেষে টাকা পেলে কয়েকদিন তাদের দেখা মেলে না। নাগরিকরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে। এজন্য কাউন্সিলরা তাদের তত্তবধানে এনজিওদের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণের চিন্তা করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন