বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভোগান্তির শিকার শিক্ষার্থীরা

ঢাবিতে ভর্তি প্রক্রিয়া

রাহাদ উদ্দিন | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে প্রায় পুরো বিশ্ব শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অফিসিয়াল নানা কাজে অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ে। যা বিশ্বব্যাপী একটি নতুন মাত্রার সৃষ্টি করেছে। অনলাইন নির্ভর শিক্ষাদানের ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পাঠদান থেকে শুরু করে পরীক্ষার ফরম পূরণের যাবতীয় কার্যাবলী অনলাইনে করা হয়। কিন্তু এর ব্যত্যয় ঘটেছে ভর্তির ক্ষেত্রে। ভর্তি কার্যক্রমে কিছু বিষয় রাখা হয়েছে অনলাইনে আর কিছু বিষয় অফলাইনে। এত অনলাইন অফলাইনের মারপ্যাঁচে পড়ে শিক্ষার্র্থীদের হতে হচ্ছে ভোগান্তির শিকার।
এ বছরই প্রথমবারের মতো ভর্তি কার্যক্রমে অনলাইন সেবা চালু করা হয়। কিন্তু সমস্যা হলো অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইন কার্যক্রম ও চালু রয়েছে পূর্বের ন্যায়। এতে করে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রমে পোহাতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভোগান্তি।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি পাঠদান ও পরীক্ষার যাবতীয় কাজ যখন অনলাইনে নেওয়া গেছে তখন ভর্তি কার্যক্রম ও পুরোপুরি অনলাইনের মাধ্যমে করা যেত। এতে করে দু’তিন দিনের জন্য ঢাকায় এসে যাতায়াত ও থাকার সমস্যায় পড়তে হতো না তাদের।
প্রথমে অনলাইনের মাধ্যমে ৭ হাজার ৩৯০ টাকা জমা দিলাম। তারপর ডিপার্টমেন্ট অফিসে গিয়ে জমা দিলাম ৩ হাজার ৫৫০ টাকা। সোনালী ব্যাংকে গিয়ে জমা দিলাম ৩ হাজার ৪০০ ও জনতা ব্যাংকে দিলাম ৬০০ টাকা। এভাবেই ডিপার্টমেন্ট আর এ ব্যাংক থেকে সে ব্যাংকে দৌড়াদৌড়ি করলাম সারাদিন। এরপর ভর্তির রশিদ নিয়ে হল অফিসে গেলাম হল প্রভোস্টের সিগন্যাচারের জন্য। কিন্তু হল থেকে জানানো হলো আজ আর নয়, আগামীকাল এসে নিয়ে যাবেন। এভাবেই ছুটোছুটি করে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করলাম। কথাগুলো বলছিলেন গতকাল ভর্তি হতে আসা স্যোসাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত। তার এলটমেন্ট পড়েছে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে। তিনি বলেন, আমি পঞ্চগড় থেকে এসেছি। আপাতত আমার এখানে থাকার কোনো জায়গা নেই। এমতাবস্থায় আমার জন্য ঢাকাতে দু’দিন থাকাটা অনেক বেশি কষ্টের। তাই আমি মনে করি ভর্তির পুরো কার্যক্রমটা অনলাইনে হলে আমাদের অনেক সুবিধে হতো।
মেয়ে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে আসা এক বাবা বলেন, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে এসেছি। ভেবেছিলাম দিনে দিনে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে দিনে দিনেই ফিরব বাড়ি। কিন্তু হল প্রভোস্টের সিগন্যাচারের জন্য আর অফিসে অফিসে দৌড়াদৌড়ির কারণে আজকে রয়ে যেতে হলো। এতে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে আমার। তাই ভর্তির কার্যক্রম অনলাইনে হলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেন এই অভিভাবক।
অন্যান্য কার্যক্রমের মতো ভর্তির বিষয়টাও অনলাইনে করা যায় কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.মো.আখতারুজ্জামান সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে এপর্যন্ত কেউই অভিযোগ করেননি। কিন্তু বিষয়টি অবশ্যই ভাবার বিষয়। তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোন বিষয় পুরোপুরি অনলাইন প্রক্রিয়ায় যেতে পারেনি তাই আমরাও পুরোপুরিভাবে যেতে পারছি না। তবে বিষয়টা যেহেতু কেবল শুরু হলো ধীরে ধীরে আমরা সম্পূর্ণ অনলাইনের দিকে যাব। এছাড়াও অনলাইন প্রক্রিয়ার অসুবিধা তুলে ধরে তিনি বলেন, বহু শিক্ষার্থী আছে যারা অনলাইনের ব্যাপারে অনিহা প্রকাশ করে থাকে। তারা রীতিমতো অনলাইনে বিষয়গুলো চেক করে না কখন কোন ইভেন্ট সামনে আসছে, কখন কোনটা চলে যাচ্ছে।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন