বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ল’ফার্ম নিয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ল’ফার্ম নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের মাধ্যমে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। ওটাতেও অনেক প্রভিশন (বিধান) আছে। যেখানে লিগ্যাল ফোর্স (আইনি ব্যবস্থা) নেওয়ার ব্যাপার আছে। সেখানে কী কী শর্ত থাকে, সেগুলো নিয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ল’ফার্মকে হয়তো এনগেজ করার বিষয় থাকতে পারে। সেগুলো আমরা দেখছি।
গতকাল নিরাপত্তা বাহিনীর অনুদান পাওয়া নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে লেহ চুক্তির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান পেতে যে চুক্তি করা হবে, সেটা বাছাই করা হচ্ছে। সেভগার্ড রেখেই করা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মাসুদ বিন মোমেন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্র অনুদান পেতে আমরা দেশটির সঙ্গে লেহ চুক্তিতে সম্মতি হয়েছি। এই চুক্তির লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছি। চুক্তি খতিয়ে দেখছি। তবে এটাকে ঠিক চুক্তি বলা যাবে না। এটা একটি সম্মতিপত্র। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী আগামী দিনে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য যে অনুদান দেবেন, তার হিসাব নিকাশ দিতে হবে। তবে অতীতে ব্যয়ের জন্য সে হিসাব প্রযোজ্য নয়।
যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে অনুদান দিয়ে থাকে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশও এই অনুদান পেয়ে আসছিল। এখন থেকে এই অনুদানের সব ধরনের তথ্য দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। একইসঙ্গে চুক্তিও করতে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তির অনুরোধ করেছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো ১৫ দিন সময় চেয়েছে। সে অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন বিষয়টা নিয়ে কাজ করছে।
মূলত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবের সাবেক ডিজি ও বর্তমান র‌্যাবের ডিজিসহ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিগ) ও পররাষ্ট্র দফতর। এতে জানানো হয় নিষেধাজ্ঞা দেয়া কর্মকর্তাদের সে দেশে সম্পত্তি থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ রয়েছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। এ ছাড়া র‌্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন