গফরগাঁও উপজেলার উত্তরে ১নং রসুলপুর ইউনিয়নের কদম রসুলপুর গ্রামের চৌড়া ভিটায় মাদ্রাসাছাত্রী মোছাঃ মারুফা খাতুনের আগুনে পোড়া লাশ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে । নিহতের পিতা মোহাম্মদ মুজিবর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে গফরগাঁও থানায় মামলাটি করেন গত বৃহস্পতিবার রাতে । এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারুফা খাতুনের জানাজা শেষে কদম রসুলপুর গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। মারুফা খাতুন (১৪) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তার পরিবার ও স্বজনদের ময়মনসিংহ ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ ডিবির অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে জানিয়ে গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক আহমেদ বলেন, থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের কদম রসুলপুর গ্রামে দিনমজুর মুজিবর রহমানের মেয়ে মাদরাসার ছাত্রী মোছাঃ মারুফা খাতুনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।মৃত মারুফার পিতা মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান বলেন , আমার তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ের মধ্যে মারুফা হলেন চর্তুথ মেয়ে । এলাকাবাসীর মধ্যে কারও সঙ্গে আমার শ্রক্রতা নেই । আমার মেয়ে মোছাঃ মারুফাকে কে বা কারা পুড়িয়ে হত্যা করল তা এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছিনা । মেয়ে কোন সময়ই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেনি । তাহলে সে কিভাবে এবং কার সঙ্গে ওই খানে গেলো ।
এলাকাবাসীর ধারনা ঃ হয়তো কেউ কৌশলে ছাত্রী মোছাঃ মারুফাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে ধর্ষণ শেষে আগুনে পুড়ে হত্যা করে । শুক্রবার (৩১ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহমেদ ইনকিলাব প্রতিনিধিকে জানান, এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে গফরগাঁও থানার পুলিশ ও ময়মনসিংহ জেলার ডিবি সরে জমিনে তদন্ত করা হচ্ছে । এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন