বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নববর্ষের ফানুসের আগুনে পুড়েছে দেশ: সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:৪১ পিএম

থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে ফানুস ওড়াতে গিয়ে রাজধানী ঢাকার অন্তত ১০টি স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শুধু ঢাকাই নয়, সারাদেশ থেকে প্রায় ২০০ স্থানে আগুন লাগার সংবাদ এসেছে জরুরি সেবা ৯৯৯ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের কাছে। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়।

এ বিষয়ে সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘ঈশাব্দ তথা খ্রিস্টিয় নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতি না হলেও তাকে এড়িয়ে যাবার কোনো সুযোগ নেই। বিশেষত আমাদের দৈনন্দিন কাজে ঈশাব্দের অপ্রতিরোধ্য ব্যবহার এর অপরিহার্যতাকে নিসংশয় করেছে। কিন্তু ঈশাব্দ উদযাপনের পন্থাটি নিজেদের সংস্কৃতির অনুসরণে করে নেয়াই যায়। তবে আতশ বাজি, ফানুস ওড়ানো সার্বজনীন বাঙালি সংস্কৃতি নয়। তাই নববর্ষ উদযাপনে এটা বন্ধ করা জরুরী- এমন কথা আগেও লিখেছি। কিন্তু কাজ হয়নি। তার প্রমাণ নববর্ষ উদযাপনে সারাদেশের ২০০টি স্থানে আগুন, এমনকি খোদ রাজধানীর ১০টি স্থানে আগুনের খবর। আল্লাহর অশেষ করুণা যে ভয়াবহ কোনো বিপর্যয়ে পড়তে হয়নি। কিন্তু এখনই সতর্ক না হলে বিপর্যয় বেশি দুরে নেই।’

আবদুল জব্বার লিখেছেন, ‘জাতির জন্য এর চেয়ে দূর্ভাগ্য আর কি হতে পারে? দিন দিন আমরা অধপতনের দিকে যাচ্ছি। আল্লাহ আমাদের মাফ করুন।’

উদ্বেগ প্রকাশ করে অভিনেত্রী অপি করিম লিখেছেন, ‘আকাশে আজ হাজার হাজার ফানুশ। তবে সেগুলো কার স্বপ্ন, কার জীবন কোথায় জ্বালিয়ে দিচ্ছে কে জানে!’

সাংবাদিক মনজুর কাদের জিয়ার প্রশ্ন, ‘আতশবাজি-ফানুস অনেকের আনন্দের হলেও কারও কারও জন্য যে কতো বড় ক্ষতি এটা কে বুঝবে?’

তুরস্ক প্রবাসী রাসেল আহমেদ লিখেছেন, ‘না দেখলাম ফানুস, না শুনলাম লাউড স্পিকারে হিন্দি গান, কোন পিকনিক নেই, হৈ হুল্লোড় নেই।
কিন্তু ফজরের নামাজের ১ ঘন্টা আগে থেকে রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম। কারণ ভোরবেলা মানুষজন ওসমানী আমলের উলুজামী মসজিদে নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করে নতুন বছর শুরু করতে চায়। যারা দুরে যেতে পারছে না, বাড়ির পাশের মসজিদেই দল বেঁধে যাচ্ছে। কি একটা পরিবেশ তৈরি করেছে তারা। আলহামদুলিল্লাহ। এনালগ তুর্কি!’

সাংবাদিক সৈয়দ ইবনে রহমতের জিজ্ঞাসা, ‘নিজেরা তো আনন্দ করলেন, আগুন জ্বালাইলেন! কিন্তু এই শীতের রাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ভাইদের সেসব নেভাতে গিয়ে কী অবস্থা হচ্ছে সেটা কি একটু ভেবে দেখেছেন?’

নাসির প্রধানের দাবি, ‘এসমস্ত আতশবাজি, ফানুস অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিৎ। ঢাকার মতো অপরিকল্পিত এবং ঘনবসতিপূর্ণ শহরের জন্য এগুলো কোনোভাবেই উপযোগী নয়। এখনই সচেতন না হলে সামনে আরও খারাপ দিন দেখতে হবে। এ রকম একটা শুভ দিনে এসব গজব সৃষ্টি করে হাজারো মানুষের স্বপ্ন ধ্বংস করে দিচ্ছে না তো? মানুষ এখন আর মানুষ নাই, অমানবিক এসব কার্যকলাপ করে হায়েনার রুপ ধারণ করছে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Arman Nahid ১ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৭ পিএম says : 0
আমরা নামে মাত্র মুসলিম আসলে জালেম আর আমাদের ভিতর কোন কিছুই তফাত নাই।নৈতিকতা দিক দিয়ে বিধর্মীরাই এই নামধারী মুসলিম থেকে অনেক ভালো।
Total Reply(0)
Mahmud Hasan ১ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৭ পিএম says : 0
প্রশাসন জঙ্গি হামলা ঠেকাতে ব্যস্ত ছিল এজন্য এগুলো চোখে পড়ে নাই।
Total Reply(0)
আমার সোনার বাংলা ১ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৭ পিএম says : 0
এগুলো কখনও বাংলাদেশের সংস্কৃতি ছিল। বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের কে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। সকল মা বাবা ধিক্কার জানাচ্ছি তাদের সন্তানকে বিপথে ঠেলে দেওয়ার জন্য।
Total Reply(0)
Shikder Sayeed ১ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৮ পিএম says : 0
আধুনিক লেখাপড়া জানা মানুষগুলো পূর্বেকার নিরক্ষর মানুষের চেয়ে বেশি অসভ্য এবং অমানবিক
Total Reply(0)
Nayeemul ২ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৪৫ এএম says : 0
নতুন বছর উদযাপন না হলে ঘড়ির কাঁটা কি বন্ধ হয়ে যাবে নাকি সময় এগিয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে? কেন এই ধরনের পশ্চিমা সংস্কৃতিকে খাপ খাইয়ে নিজের সংস্কৃতিকে বিলুপ্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন