সিলেট নগরীর উপশহর এলাকায় এক যুবককে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা তার পায়ে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করার পাশাপাশি ব্যাপক মারপিঠের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা সিসিকের ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ সেলিমের অনুসারি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাজ্জাদ নামের ওই যুবক।
রবিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর উপশহর এ ব্লকের ৮ নং রোড সংলগ্ন ফ্যামেলি বাজার নামক একটি দোকানে যান ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সাময়িক বহিষ্কৃত) ছালেহ আহমদ সেলিম। সেখানে বসা দোকানদার সাজ্জাদকে এক প্যাকেট বেনসন সিগারেট দিতে বলেন কাউন্সিলর সেলিম। এসময় কাউন্সিলর সেলিমের সাথে সাজ্জাদ অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে ক্ষিপ্ত হন সেলিম। ঘটনার কিছুক্ষণ পর কাউন্সিলর সেলিমের অনুসারীরা সাজ্জাদের বাসায় যায় ধরে আনতে তাকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় কাউন্সিলর সেলিমের অনুসারী এইচ আর সুমন, চঞ্চল, মিন্নত, জুয়াড়ি শাহীনসহ ১০-১৫ জন শালিসের কথা বলে কাউন্সিলর কার্যালয়ে ডেকে এনে নির্যাতন করেন সাজ্জাদকে। মারপিট করার এক পর্যায়ে সাজ্জাদের বাম পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় গুরুতর আহত সাজ্জাদকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের ৩ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন আছেন। ইতিমধ্যে ৩ ব্যাগ ও পজেটিভ রক্ত দেওয়া হয়েছে তাকে। আহত সাজ্জাদের বাড়ি জকিগঞ্জ উপজেলায়। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ সেলিম বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার উপর দোষ চাপানো হচ্ছে। সাজ্জাদ নামের ওই যুবককে আপনার অনুসারীরা মারধর ও ছুরিকাঘাত করেছে বলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে কারো কোন ঝামেলা হয়নি। তাহলে কেনইবা হামলার ঘটনা ঘটবে। আমি রাজনীতি করলেও আমার ব্যক্তিগত কোন অনুসারি নেই বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে ফ্যামেলি বাজারের সত্ত্বাধিকারী পাভেল আহমদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। সাজ্জাদের উপর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান খান বলেন, ঘটনার খবর শুনেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করে এসেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন