শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

নির্বাচনের সময় অবশ্যই জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে - পীর সাহেব চরমোনাই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:২৪ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ভোট ডাকাতের রুখে দিতে ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে ইসলামের বিকল্প নেই। ইসলাম ছাড়া দেশের চলমান দুর্নীতি ও দস্যুতামুক্ত দেশ গড়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, যে দেশে ১০০ টাকা বরাদ্দ হলে জনগণ পায় ১০ টাকা, এমন দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় রেখে দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়া কখনো সম্ভব নয়।

রোববার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সমাজকল্যাণ বিভাগের আয়োজনে রাজধানীর বাড্ডা নতুন বাজারস্থ খন্দকার বাড়ি জামে মসজিদের সামনে অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ভ্যান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলাম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, দফতর সম্পাদক মাওলানা নিজাম উদ্দিন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আলহাজ মঞ্জুরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রায় অর্ধশত দুঃস্থ পরিবারের কর্মক্ষম মানুষের মাঝে ভ্যান বিতরণ করা হয়। পীর সাহেব বলেন, দেশের মানুষ আজ সরকার দলীয় লোকজনের জুলুম-অত্যাচারে অতিষ্ঠ। জনগণে অধিকার বলতে কিছু নেই। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। সরকার একযুগেরও বেশি সময় ধরে যা করেছে তা দেশের মানুষ সবই দেখেছে। এখন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে আবারও ভোট ডাকাতির পাঁয়তারা করছে। এদেশের মাটিতে আর কোন ভোট ডাকাতি হতে দেব না। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৫০ বছরেরও বেশি সময় পার হয়েছে। এখন পর্যন্ত একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের রূপরেখা করা সম্ভব হয়নি। এখনো জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে আন্দোলন করতে হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী যে ৩টি দল রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিলো তারা সকলেই সংবিধানকে অবজ্ঞা করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যারা বিগত দিনে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে জনগণের অধিকারকে কুক্ষিগত করেছে, তাদেরকে অবশ্যই জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

মুফতী রেজাউল করীম বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট সংলাপ করছেন। এ সংলাপে ফলপ্রুসূ কিছু হবে বলে আমরা মনে করছি না। কারণ অতীতেও দুটি সংলাপ হয়েছে তাতে জনপ্রত্যাশা পূরণ হয়নি। চলমান সংলাপেও এর ব্যতিক্রম কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি আরও বলেন, এর চেয়ে বেশি জরুরি নির্বাচনকালীন সরকার কাঠামো নিয়ে সংলাপ। দেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কিভাবে হবে, তা নিয়ে সংলাপ হওয়া উচিৎ।

মুফতি রেজাউল করীম বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন করতে হবে এবং নির্বাচনের সময় অবশ্যই অন্তবর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে লেজুড়বৃত্তি করা কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে স্থায়ীভাবে তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন