শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ফের চলতে শুরু করে ৩ চাকার যান

শরীয়তপুরে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা

মো. হাবিবুর রহমান হাবীব, শরীয়তপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

শরীয়তপুর জেলা সদরসহ অপর ৫ উপজেলা শহরের সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধযান নসিমন, করিমন, ভটভটি। পুলিশের নানান তৎপরতাও কাজে আসছে না। জেলা-উপজেলার সড়ক ও মহাসড়কে ‘যমদূতের’ মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যানবাহন। আর এতে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিনিয়ত প্রাণ ঝরালেও এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ হচ্ছে না। একটি দুর্ঘটনার পর পুলিশ কিছুদিন অভিযান চালায়, তারপর এক সময় সে অভিযান স্তিমিত হয়ে পড়ে। ফের চলতে শুরু করে তিন চাকার যানগুলো।
স্থানীয় নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের নেতা সমীর চন্দ্র জানান, ‘সড়কের দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে এসব যানবাহন অধিকাংশে দায়ী। শুধু দায়ী করার বিষয় নয়, বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনায় এসব যানবাহনের সংশ্লিষ্টতাই খুঁজে পাওয়া যায়। আমি এসব যানবাহন চালকদের সাথে আলাপ করে জেনেছি চালকদের থেকে মালিক ও শ্রমিক নেতাদের একটি সিন্ডিকেট টোকেনের মাধ্যমে প্রতিদিন গাড়ি প্রতি চাঁদা আদায় করে।’
জেলা সদরের ব্যবসায়ী ইয়াকুব শেখ জানান, ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে সড়ক থেকে তিন চাকার যানবাহন সরিয়ে নিতে গিয়ে এসব অবৈধ যানবাহন মালিকদের তোপের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। এসব গাড়ি জব্দ করতে গেলে তারা ধর্মঘট ডাকাসহ পুলিশ ও যাত্রীদের হয়রানির চেষ্টা করে প্রভাবশালী মহলের সহায়তায়।’
ভেদরগঞ্জের ঠিকাদার মো. নাসির উদ্দিন জানান, ‘শরীয়তপুর জেলা সদরসহ ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা, গোসাইরহাট, নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার ইজিবাইক-অটোরিকশা, ১০ হাজারের উপর নছিমন ও ভটভটি, ৩ হাজার এলএনজিপিসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। সবচেয়ে বেশি ইজিবাইক, এলএনজিপি ও মাহেন্দ্র রয়েছে এ জেলায়। রাত-দিন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে এসব যানবাহন। কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই বেপরোয়া গতিতে এসব যান চালাচ্ছেন চালকরা। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।’
শরীয়তপুর জেলা ট্রাফিক বিভাগের পরির্দশক টিআই-১ মো. নিজাম জানান, ‘আমি শরীয়তপুর জেলায় নতুন এসেছি। এখন পর্যন্ত তেমন কোন অভিযান বা অবৈধ যানবাহনের বিষয়ে অবগত হতে পারিনি। এর মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছি। সরকার বা আদালতে কোন নির্দেশনা আসলে তা পালনের জন্য আমাদের ট্রাফিক বিভাগ প্রস্তুত আছে।’
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর-আল-নাসীফ জানান, ‘আমাদের জেলা ও উপজেলাগুলোতে অবৈধ যানবাহন নসিমন, করিমন, ইজিবাইক, অটোবাইক, ভটভটিসহ যেসকল যানবাহন চলাচল করছে তা বন্ধের জন্য অভিযান পরিচালনা করার পরে কিছু দিন বন্ধ থাকে। আবার তারা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। ফলে অভিযান পরিচালনা করেও এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছেনা।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন