শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নড়িয়ায় ভোট কেন্দ্রে আগুন, ৪৩ রাউন্ড গুলি ও বোমা হামলা

শরীয়তপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:০৯ পিএম

ভোজেশ্বর ইউপি’র ২২ নং দুলুখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজ করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।


শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২২ নং দুলুখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুরে কেন্দ্র দখল করা হয়। এ সময় সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। যমুনা টেলিভিশন প্রতিবেদক কাজী মনিরুজ্জামান, কালের কন্ঠের প্রতিনিধি শরীফুল ইসলাম ইমন ও সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জাকারিয়া মাসুদের মটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন বেপারীর (আনারস) মার্কার সমর্থকরা এ হামলা করেছেন। পরে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করা ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, বুধবার সকালে নড়িয়ার ভোজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শহীদুল ইসলাম সিকদার, এমদাদ সিকদার, রুনা আক্তার, দেলোয়ার হোসেন বেপারী ও এনামুল হক বেপারী।
দোলোয়ার হোসেন বেপারী সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক ও নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হকের চাচাত ভাই।
দুপুর সোয়া দুইটার দিকে ২২ নং দুলুখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলা করে দেলোয়ার হোসেন বেপারীর সমর্থকরা।
রিটানির্ং অফিসার পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শরীফ মোঃ ফয়সাল জানান, সন্ত্রাসীরা ককটেল বোমা হামলা ও গুলি করে ভোটারদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর পর ভোট কেন্দ্র দখল করে তিনটি ভোট বাক্স, ৩ হাজার ব্যালট ও নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী ছিনতাই করে নিয়ে যায়। দরজা আটকে দিয়ে ভোট কেন্দ্রে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য ও ভোটাররা ওই কক্ষে আটকা পরে। তারা দরজা ভেঙ্গে সেখান থেকে প্রাণে বাঁচে।
পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান জানান, ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৪৩ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুরে।
এর পর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুজন দাস গুপ্তের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা অবরুদ্ধদের উদ্ধার করেন। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছেঁ স্কুল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
নারী আনসার সদস্য তরিকত নেছা বলেন, বোমা ও গুলির কারণে কেন্দ্রের ভেতর আশ্রয় নেই। পরে ভোট বাক্স, ব্যালট ছিনিয়ে নেয়ার পর স্কুল ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আমাদের মারধর করে গায়ের গহনা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।
৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী ইকবাল সিকদার বলেন, হামলার সময় কেন্দ্রের মধ্যে আটকা পরি। বাহির থেকে কক্ষ আটকে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিলে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পরি। জানালা ভেঙ্গে ভবন থেকে বাহিরে এসে প্রাণে বাঁচি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদুল ইসলাম সিকদার (আনারস) বলেন, দেলোয়ার হোসেন বেপারীর সমর্থকরা ভোট বানচাল করার জন্য ভোট কেন্দ্রে হামলা চালায়। সকাল থেকে ককটেল হামলা করে আতঙ্ক ছড়ায়। দুপুরের দিকে ৫ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন বেপারীর (চশমা) এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত ভোট কেন্দ্রে হামলাসহ অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন