বিক্ষোভ অব্যাহত কাজাখস্তানে। রাজধানীর বিমানবন্দর বিক্ষোভকারীদের দখলে। সিএসটিও-র কাছে সাহায্য চাইলেন প্রেসিডেন্ট।
কাজাখস্তানের রাজধানী আলমাটির বিমানবন্দর দখল করে নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও দেশের প্রেসিডেন্ট তাদের সন্ত্রাসী বলে চিহ্নিত করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন। সাবেক সোভিয়েতের রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে তৈরি সিএসটিও-র কাছে সেনা সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।
তেলের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল কাজাখস্তানে। ক্রমশ তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। প্রেসিডেন্ট দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ থামছে না। দেশের জাতীয় টেলিভিশনে বিবৃতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ। বিক্ষোভকারীদের তিনি সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
কালেক্টিভ সিকিওরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা সিএসটিও হলো পুরনো সোভিয়েত দেশগুলির এক মিলিত মঞ্চ। তাদের কাছে তোকায়েভ সেনা সাহায্য চেয়েছেন। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সাময়িক সময়ের জন্য তারা সেনা সাহায্য করবেন। বিমানবন্দরে পাঁচটি বিমান বিক্ষোভকারীরা ছিনতাই করেছে বলে প্রেসিডেন্টের অভিযোগ। তার মধ্যে বিদেশি বিমানও আছে।
গোটা কাজাখস্তান জুড়েই বিক্ষোভ হচ্ছে। তবে রাজধানীতে বিক্ষোভের আঁচ সবচেয়ে বেশি। রাজপথে কামান নামিয়েও বিক্ষোভ দমন করা যাচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট টেলিভিশন বিবৃতিতে বলেছেন, বিক্ষোভ বন্ধ না করলে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো পর্যন্ত বেশ কিছু নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। তবে সরকারিভাবে বিক্ষোভকারীদের হতাহতের সংখ্যা জানানো হয়নি। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন