রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ডিসকাউন্ট না থাকায় দর্শনার্থী কমছে

ছুটির দিনের অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মেলার ৬ষ্ঠ দিন

খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:৫৬ পিএম

পূর্বাচলে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দিনের বেলা দর্শনার্থী নেই বললেই চলে। এখনো ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যে ডিসকাউন্ট না দেয়ায় এমনটা হচ্ছে দাবি দর্শনার্থীদের। তাই দিনের বেলায় স্থানীয় লোকজন আর ব্যবসায়ী পক্ষ ছাড়া তেমন কাউকে দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীদের দাবি গত ১ সপ্তাহে ছুটির দিন ছাড়া খুব একটা জমেনি এ মেলায় বেচাকেনা। তাই সপ্তাহের ছুটির দিনের অপেক্ষায় তারা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেলার ৬ষ্ঠ দিনেও এর প্রবেশপথে ও স্টল নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে বেশিরভাগ স্টল পণ্যে পরিপূর্ণ রয়েছে। তাই ক্রেতা ও দর্শনার্থীরাও খুশি। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে মেলা অভ্যন্তরে দেখা যায়, খাবার হোটেলগুলোতে রাখা হচ্ছে যা খুশি তাই মূল্য। যদিও খাবারের মূল্য টাঙিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের অধীনস্থ হোটেল অবকাশ। তবে তাদের খাবার হোটেলের সব খাবারের দাম সাধারণের হাতের নাগালের বাইরে। এমনটাই অভিযোগ করেন রূপগঞ্জের মধুখালীর বাসিন্দা তাহছিনা আক্তার। আব্দুল হক ভুঁইয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাহিরা তাসফি প্রভা বলেন, এবার বাণিজ্যমেলা ঘুরে দেখেছি। সেখানে শিশুদের জন্য বিজ্ঞান বক্স আমাকে আকর্ষণ করেছে।

মেলায় আসা কাঞ্চন পৌর এলাকার বাসিন্দা রূপা সিকদার বলেন, মেলায় প্রবেশের পর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ধুলোবালি দেখা গেছে। এতে দর্শনার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। রাজধানীর বাড্ডা থেকে আসা দর্শনার্থী কাউছার আল হাবীব বলেন, বাণিজ্য মেলায় আসতে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেহাল অবস্থা। সেইসঙ্গে প্রচণ্ড ধুলা। তিনি ধুলা কমাতে বাণিজ্য মেলার এ সময়ে রাস্তায় পানি ছিটানোর দাবি জানান। দাউদপুরের শিমুলিয়ার বাসিন্দা রোমান মিয়া বলেন, মেলার পাশের এশিয়ান বাইপাস সড়ক থেকে আসা ধুলায় দর্শনার্থীদের বিপাকে পড়তে হয় তাই পানি ছিটালে ধুলা কিছুটা কমবে বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে, মেলার গতকাল ৬ষ্ঠ দিন হলেও এখনো মেলা জমেনি। এ নিয়ে যমুনা ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলা ভালো জমে। আশা করছি, আজ শুক্রবার থেকে মেলা জমবে। এছাড়া মেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখনো সেভাবে পণ্যে ডিসকাউন্ট দেয়া শুরু করেনি। আমরাই ডিসকাউন্ট দিয়ে ক্রেতা আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছি। অন্যরাও বিভিন্ন পণ্যে ছাড় পেলে ক্রেতারা আকৃষ্ট হবে বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে করোনা মহামারি আবার ইউরোপসহ অন্যান্য কিছু দেশে নতুন রূপে ছড়িয়ে পড়ায় এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণও কিছুটা কম। এছাড়া দেশে গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা বাড়লেও মেলায় মাস্ক ব্যবহারে তেমন সচেতনতা দেখা যায়নি। মাস্ক না পড়ার এ বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

মাসব্যাপী মেলায় এবার দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কসমেটিকস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ-সামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে।

বাণিজ্যমেলা প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে খোলা থাকছে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের ৪০ টাকা ও শিশুদের ২০ টাকা। এছাড়া কুড়িল বিশ্বরোড ফ্লাইওভার থেকে মেলা প্রাঙ্গণে যাতায়াতের জন্য ৩০টি বিআরটিসির বাস চলবে। ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা। ইপিবি জানিয়েছে, দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়লে বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন