শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভূমধ্যসাগরে শরণার্থী প্রাণহানির রেকর্ড

প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ২০১৬ সালে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে রেকর্ড সংখ্যক শরণার্থীর প্রাণ হারিয়েছে। প্রাণহানির এ সংখ্যা অন্তত ৩ হাজার ৮০০ বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৭১ জন। চলতি বছর প্রাণহানির এ সংখ্যার হিসাব ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। সে হিসাবে বছরের বাকি সময়ে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুনিয়াজুড়ে জীবন বাঁচাতে আর মাথা গোঁজার জন্য নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর নানা দিকে ছোটাছুটির ঘটনা এর আগে আর ঘটেনি। ২০১৪ সালে যুদ্ধ-দাঙ্গাপীড়িত বা অভাবের তাড়নায় প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ নিজের জন্মভূমি আর ঘরবসত ছেড়ে নানা দেশে পাড়ি দিয়েছিল। সেই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের একটা বড় অংশই যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার নাগরিক। যুদ্ধাবস্থা থেকে বাঁচতে দলে দলে ভিনদেশের পথে ছুটছেন দেশটির বাসিন্দারা। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, পাচারকারীরা এখন ছোট নৌকায় করে পাচারের চেষ্টা করছে। গত বুধবার লিবিয়ার উপকূলে একটি আংশিক নিমজ্জিত ডিঙি নৌকায় ২৫ জনের লাশ পাওয়া যায়। এ সময় ১০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। গত বুধবার টুইটারে দেয়া এক পোস্টে ইউএনএইচসিআর জানায়, ভূমধ্যসাগরের সবচেয়ে বিপজ্জনক রুট হচ্ছে লিবিয়া ও ইতালি। এই পথ দিয়ে ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়া প্রতি ৪৭ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। যেখানে তুরস্ক থেকে গ্রিস রুটে মৃত্যুর অনুপাত প্রতি ৮৮ জনের মধ্যে ১ জন। এ রুটে প্রাণহানির হার বৃদ্ধির কারণ হিসাবে নিম্নমানের নৌযান ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছে ইউএনএইচসিআর। জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রতিনিয়ত স্বপ্নভূমির উদ্দেশে দেশ ছাড়ছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাহাজ বা নৌকায় চড়ে বসছেন অসংখ্য শরণার্থী। আল-জাজিরা, বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন