বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পরামর্শক কমিটির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে তিন সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ৯:৫২ এএম

ক্রমেই বাড়ছে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন। এমন পরিস্থিতিতে রোববার রাত ১০টায় জাতীয় কারিগরি কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতির এ পর্যায়ে এখন বন্ধ করা হবে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুল-কলেজগুলোতে যে প্রক্রিয়ায় পাঠদান চলমান আছে তা অব্যাহত থাকবে।

দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হলো শিক্ষামন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিতে কাজ করবে।

এক সপ্তাহ পরে জাতীয় পরামর্শক ও কারিগরি কমিটির সঙ্গে আবারো বৈঠকে বসবে শিক্ষামন্ত্রণালয় এছাড়াও সবাই নিয়মিত সবকিছু পর্যবেক্ষণ করবে যা তৃতীয় সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয় জানায়, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার সকাল ১০ টায় সচিবালয়ে এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন তিনি।

এদিকে রোববার করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রমের উপর জোর দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে নতুন করে আদেশ জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

আদেশ সূত্রে জানা গেছে ১৫ জানুয়ারির পর কোন শিক্ষার্থী টিকাগ্রহণ না করে ক্লাস করতে পারবে না। মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির এই পরিস্থিতিতে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় চলমান শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দিতে অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকার কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে নির্দেশনাগুলো দেয়া হলো।

অফিস আদেশে জানানো হয়, ১২-১৮ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থী (নিবন্ধনকৃত ও অনিবন্ধনকৃত) ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে। আদেশে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনে শিক্ষার্থীদের টিকা কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষককেও টিকা কেন্দ্রে পাঠাবে। টিকা গ্রহণ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না। টিকা কার্যক্রম চলমান অবস্থায় সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা/খানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।

এছাড়াও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিশ্চিতে সচেষ্ট থাকবেন।

দেশের সব অঞ্চলের পরিচালক (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা), সরকারি ও বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সব আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সব উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
এইচ এম আবু সাইদ ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:২৮ এএম says : 0
আমাদের অনেকের ই জন্মনিবন্ধন ডিজিটাল করা নাই আর করতে গেলেও টাকা নেই ???? এখন আমরা কি আমাদের ডিজিটাল নিবন্ধন ছাড়াই করোনার নিবন্ধন করতে পারবো
Total Reply(0)
এরশাদুল ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ২:১৭ পিএম says : 0
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে, অটোপাশ দিয়ে অবস্থার কোন উন্নতি হবে না। লকডাউন না দিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সবকিছু খোলা রাখুন। অনুরোধ করি, দেশের মানুষকে ভোগান্তিতে আর ফেলবেন না।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন