একে একে ভেসে উঠেছে ৬ জনের লাশ। স্বজনদের আহাজারী আরো লাশের গন্ধে ভারী হয়ে উঠেছে ধলেশ্বরীর তীরের বাতাস। বাকি ৪ জনকে খোঁজছেন উদ্ধারকারীরা, স্বজনরাও খোঁজছেন ট্রলারে ট্রলারে। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপপরিচালন আব্দুল্লাহ আল আরফিন জানান, তাদের সকলকেই লাশ হস্তান্তর হয়েছে। গত রোববার সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে তাদের লাশ ভেসে ওঠে। পরবর্তীতে সন্ধায় ধর্মগঞ্জ ঘাট থেকে আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া লাশগুলো হলো, জেসমিন আক্তার, তার মেয়ে তাসমিম আক্তার, সাব্বির, জ্যোস্না বেগম। এছাড়াও পরবর্তীতে আওলাদ ও মোতালেবকে উদ্ধার করেন। নিহত গৃহিণী জেসমিন আক্তারের ভাই বিল্লাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে প্রতিদিনই তারা ট্রলার নিয়ে আশপাশের এলাকায় স্বজনদের খোঁজ করছিলেন। গতকাল সকালে ট্রলার দিয়ে খুঁজে দেখার সময় তারা দুর্ঘটনাস্থলের সিপাহিবাড়ি ঘাটে দুটি ভাসমান লাশ দেখতে পান। আর বাকি দু’টি লাশ পাওয়া গেছে বক্তাবলি ঘাট এলাকায়। তাদের আরও দু’জনের এখনও খোঁজ মিলছে না।
গত বুধবার এমভি ফারহান-৬ নামের লঞ্চের ধাক্কায় প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। তখন থেকে অন্তত ১০ যাত্রী নিখোঁজ ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ ডুবুরি দল গত টানা চার দিনা চেষ্টা করেও নিখোঁজ কাউকে খুঁজে পায়নি। পঞ্চম দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার আগে স্বজনেরাই নিখোঁজ চারজনকে খুঁজে পেলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন