ইনকিলাব ডেস্ক : পবিত্র মক্কা নগরীকে লক্ষ্য করে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে সউদী আরব। দেশটির তরফ থেকে বলা হয়েছে, গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনের বিদ্রোহীরা পবিত্র নগরী মক্কায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সউদী প্রশাসন মক্কাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা বললেও হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিদ্রোহীরা জেদ্দার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। গত বৃহস্পতিবার মক্কার প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূর থেকে ছোড়া ওই ক্ষেপণাস্ত্র কোনো ক্ষয়ক্ষতি করতে পারার আগেই জোট বাহিনীগুলো সেটি ধ্বংস করেছে বলে গত শুক্রবারের বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স। এদিকে, মক্কা নগরীকে পবিত্র নগরী হিসেবে বিবেচনা করে থাকে মুসলমানরা। বুরকান-১ নামে একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সউদী আরবের দিকে তাক করার কথা হুতি বিদ্রোহীরা নিজেদের অফিসিয়াল নিউজ এজেন্সির মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে স্বীকার করলেও তারা বলছে, ক্ষেপণাস্ত্রটিকে তারা মক্কা নয়, বরং জেদ্দায় সউদীর ব্যস্ততম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ছুড়েছিলেন। ওই মিসাইল ধাওয়া করে মক্কার ৬৫ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে বলে সউদী প্রতিরক্ষা বিভাগ দাবি করে। তাই বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সক্ষমতা প্রকাশ পেল। তবে এই ঘটনায় সউদীজুড়ে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে মক্কা নগরীর হেফাজতে রাজ পরিবারের সম্মান প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সউদী সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সাদা প্রদেশের সউদী সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। উল্লেখ্য, বিদ্রোহী হুতিরা ২০১৫ সালের মার্চে ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল পিপলস কংগ্রেস পার্টি জোটের প্রধান আলি আব্দুল্লাহ সালেহর অনুগত সেনাদের সমর্থনে ইয়েমেনের অধিকাংশ এলাকা দখল করে নিয়ে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। হাদিকে ক্ষমতায় ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে সউদী নেতৃত্বাধীন আরব জোট বাহিনী ইয়েমেনে হস্তক্ষেপ করে। রয়টার্স, এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন