বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পাকিস্তানের গবেষণায় মানুষের দেহে শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

ডাও গ্র্যাজুয়েট ডক্টর মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের যুগান্তকারী গবেষণা ইতিহাসে প্রথম শূকর-থেকে-মানুষের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের দিকে পরিচালিত করেছে এবং ৫৭ বছর বয়সী প্রাপক ডেভিড বেনেট সিনিয়রের শরীরে হৃদপিণ্ড স্বাভাবিকভাবে স্পন্দিত হচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড স্কুল অফ মেডিসিন (ইউএমএসএম) এর ডাক্তাররা বলেছেন, মি. বেনেটের একটি প্রাণঘাতী হৃদরোগ ছিল, তবে তার অসুস্থতা উল্লেখ করেননি।

ড. মহিউদ্দিন ইউএমএসএম প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘মানুষের মধ্যে এই শূকরের হৃদস্পন্দন দেখে আমরা সবাই খুব উত্তেজিত। শূকরের হৃদপিণ্ড এখন পর্যন্ত খুব ভাল কাজ করেছে, এমনকি আমাদের প্রত্যাশার বাইরেও, যেহেতু আমরা প্রত্যাখ্যানের কোনো লক্ষণ দেখিনি’।
ইউএমএসএম-এর ডাক্তার এবং সার্জনরা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন যে, আট ঘণ্টার অপারেশনটি শুক্রবার বাল্টিমোরে হয়েছিল এবং মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা রোগী সোমবার ভাল রয়েছেন।

‘এটি নাড়ি তৈরি করে, এটি চাপ তৈরি করে, এটি তার হৃদপিণ্ড’, বলেছেন ডাক্তার বার্টলি গ্রিফিথ, মেডিকেল সেন্টারের কার্ডিয়াক ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের পরিচালক, যিনি অপারেশনটি করেছিলেন।
তিনি এনওয়াইটিকে বলেছেন ‘এটি কাজ করছে এবং এটি স্বাভাবিক দেখাচ্ছে। আমরা রোমাঞ্চিত, কিন্তু আমরা জানি না আগামীকাল আমাদের কী নিয়ে আসবে। এটি আগে কখনও করা হয়নি’।

সংবাদপত্রটি উল্লেখ করেছে, ‘এটি একটি শূকরের হৃৎপিণ্ডের একটি মানুষের মধ্যে প্রথম সফল প্রতিস্থাপন’। ‘এ অগ্রগতি একদিন মানুষের রোগীদের মধ্যে প্রতিস্থাপনের জন্য প্রাণীর অঙ্গগুলোর নতুন সরবরাহের দিকে নিয়ে যেতে পারে’।

মহিউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের পরিচালক। কোনো প্রজাতির দাতার কাছ থেকে টিস্যু বা অঙ্গ নিয়ে অন্য প্রজাতির দেহে রোপণ করাকে বলা হয় জেনোট্রান্সপ্লান্ট বা জেনোগ্রাফটিং।
‘আমরা এই শূকরের হৃদয়ে দশটি জিন পরিবর্তন করেছি, চারটি জিনকে ছিটকে দিয়েছি। প্রত্যাখ্যান সৃষ্টিকারী অ্যান্টিবডি তৈরির জন্য দায়ী তিনজন’ তিনি ব্যাখ্যা করেন। ‘এবং শূকর এবং তার অঙ্গগুলোর বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি জিন ছিটকে গেছে’।

ডা. মহিউদ্দিন বলেন যে, সারা বিশ্বে কয়েক হাজার মানুষের অঙ্গ প্রয়োজন এবং ‘দুর্ভাগ্যবশত, এই রোগীর মতো, প্রতিস্থাপনের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না’।
সুতরাং, ‘যদি জেনোগ্রাফ্টগুলো সহজেই পাওয়া যায় এবং এ রোগীদের মধ্যে স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়, তবে তাদের সকলেই এই পরিবর্তিত শূকরগুলো থেকে হৃদপিণ্ড বা অন্য কোনো অঙ্গ পেতে পারে এবং আমরা তাদের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হব’।

প্রক্রিয়াটিকে ‘একটি যুগান্তকারী’ ঘোষণা করে ডা. মহিউদ্দিন বলেন যে, যদি এই প্রতিস্থাপন কাজ করে, ‘আমাদের কাছে এখন এসব অঙ্গ সহজলভ্য হবে এবং আমি আশা করি এটি কাজ করবে’।
ডা. মহিউদ্দিন ১৯৮৯ সালে করাচির ডাউ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করেন এবং ১৯৯০ এবং ১৯৯১ সালে করাচির সিভিল হাসপাতালে তার রেসিডেন্সি করেন। ১৯৯১ এবং ১৯৯৩ সালের মধ্যে তিনি পেনসিলভানিয়া মেডিকেল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি বিভাগে ট্রান্সপ্লান্টেশন বায়োলজি এবং ইমিউনোলজিতে ফেলোশিপ করেন। সূত্র : ডন অনলাইন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
সত্য রায় ১৩ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:৩২ এএম says : 0
শূকরেই যদি জীবন বাঁচে সেটা কী হারাম জীবন হবে না
Total Reply(0)
Nasir Uddin ১৩ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:৩৩ এএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ সকল কুসংস্কার ধ্বংস করে এগিয়ে যাবে বিজ্ঞান....
Total Reply(0)
Jannatun Nayem Jinia ১৩ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:৩৩ এএম says : 0
আল্লাহ না চাইলে বেঁচে থাকা অসম্ভব
Total Reply(0)
Sakib Hossain ১৩ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:৩৪ এএম says : 0
জেনেটিক মিল থাকলে সবই সম্ভব
Total Reply(0)
Farjana Mahian Maha ১৩ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:৩৪ এএম says : 0
l জিবন দেওয়া ও নেওয়া একমাত্র আল্লাহর হাতে,আল্লাহু আকবার
Total Reply(0)
Fahad Naim Sezan ১৩ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:৩৫ এএম says : 0
শুকরের সৃষ্টিকর্তাও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। শুকরের মাংস খাওয়া ইসলামে হারাম করা হয়েছে। তবে ইসলামে জীবনের মূল্য সবার আগে, তাই যে কোন অসুখ সারাতে বা জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন হলে হারাম বস্তু (এ্যালকোহল, শুকর ইত্যাদি) ব্যাবহার করতে নিষেধ নেই।
Total Reply(0)
Mizan ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:০৩ পিএম says : 0
That's great
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন