বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া-ন্যাটো বৈঠকেও মেলেনি সমাধানসূত্র

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:৩৮ পিএম

ইউক্রেন সংকট সেই তিমিরেই। ন্যাটোর বৈঠকেও সমাধানসূত্র মেলেনি। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে আরো আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে ন্যাটো সদস্যরা।

২০১৯ সালে শেষবার ন্যাটোর দেশগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল রাশিয়া। বুধবার ফের তারা ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হয়। এদিন ন্যাটোর ৩০টি সদস্য দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন রাশিয়ার প্রতিনিধিরা।

ন্যাটো প্রধান জেন স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সহজে তার সমাধানসূত্র খুঁজে পাওয়া মুশকিল। প্রথম আলোচনায় তা মিললেও আরো আলোচনার পরিসর তৈরি হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিনিধিরাও জানিয়েছেন, আরো আলোচনায় যোগ দিতে তাদের আপত্তি নেই। রাশিয়ার শীর্ষস্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।

আমেরিকা-সহ ন্যাটোর অভিযোগ, ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে রাশিয়া। বিপুল পরিমাণ সেনা মজুত করা হয়েছে সেখানে। রাশিয়ার বক্তব্য, আত্মরক্ষার্থেই তারা সে কাজ করেছে। ইউক্রেনের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ইউক্রেনের ভিতরে রাশিয়া সেনা মোতায়েন করেছে। আমেরিকা-সহ একাধিক পশ্চিমা দেশের দাবি, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া হোক। রাশিয়া এর ঘোর বিরোধী। ন্যাটোর বৈঠকে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনকে সদস্যপদ দিলে ফলাফল ভালো হবে না।

স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সদস্যপদ, রাশিয়ার সেনা মজুত সব বিষয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। দুইপক্ষ একটি বিষয়ে সহমত হয়েছে। অস্ত্রের ব্যবহার কমাতে হবে। মিসাইলের ব্যবহার কমাতে হবে। শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানসূত্র খুঁজতে হবে।এদিনের বৈঠকের পর আমেরিকার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, রাশিয়া নিজের অবস্থানে অনড়। কিন্তু রাশিয়ার দাবি কাছে মাথা নত করা হবে না। আরো আলোচনার পক্ষে মত দিয়েছে আমেরিকা।

সোভিয়েত আমলে ইউক্রেন ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ। পরবর্তী সময়ে তা রাশিয়া থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং নতুন রাষ্ট্র তৈরি করে। সেই সময় থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের বিতর্ক। বিত্রক আরো বাড়ে গত দশকে ক্রাইমিয়া রাশিয়া দখল করার পর। ইউক্রেনের দাবি, অবৈধভাবে রাশিয়া ক্রাইমিয়া দখল করেছে। আমেরিকা এবং ন্যাটোর অধিকাংশ দেশ ইউক্রেনের সমর্থনে কথা বলেছে।

এই পরিস্থিতিতে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলির। জো বাইডেন এবং ভ্লাদিমির পুতিন একাধিক বৈঠক করেছেন। এবং একে অপরকে সতর্ক করেছেন। হুমকি পাল্টা হুমকির ঘটনা ঘটছে প্রায় রোজই। তারই মধ্যে ব্রাসেলসে ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন সকলে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন