শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

প্রশ্ন : মহিলাদের জন্য কোন রঙয়ের এবং কোন মডেলের বোরকা পরা জায়েজ তা জানতে চাই।
শরিফ হুসাইন, ই-মেইল থেকে।
উত্তর : পর্দার উদ্দেশ্য নারীর প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বাইরে প্রকাশিত হওয়া থেকে বিরত থাকা। এটি ভদ্র পোশাক, সঙ্গে (জিলবাব) বা বড় চাদর এবং (খিমার) বড় উড়না এসব দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখা উদ্দেশ্য। এমনকি সব ঢাকার পরও প্রকাশিত সৌন্দর্য পরপরুষের সামনে প্রদর্শন নিষেধ। এতে বোঝা গেল, বোরকার রঙ বা মডেল যেন দৃষ্টিকাড়া না হয়। পর্দাও যেন আকর্ষণীয় না হয়। বোরকা যদি পর্দার চেয়ে বরং আকর্ষণীয় সাজসজ্জায় পরিণত হয়, তখন এটি আর বোরকা থাকে না। অন্য প্রদর্শনীর পোশাকে পরিণত হয়। এসব বোঝেই বোরকা পরতে হবে।
প্রশ্ন : কোনো ব্যক্তি যদি এশার নামাজ রাত ১২টার পরে আদায় করেন তাহলে তার নামাজ শুদ্ধ হবে কি? দুই সিজদার মাঝখানে কতক্ষণ সময় ক্ষেপণ করা ওয়াজিব?
উত্তর : রাতের ভেতর চারটি প্রহর থাকে। ধরে নিন, চার ঘণ্টা করে। প্রথম প্রহরের এশা পড়া উত্তম। দ্বিতীয় প্রহর পার হয়ে গেলে মাকরূহ ওয়াক্ত এসে যায়। তবে এমনিতে কোনো উজর বশতঃ ফজর হওয়ার আগ পর্যন্তই এশা পড়া যায়। দুই সেজদার মাঝখানে বসার নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে বিভিন্ন হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, কিছুক্ষণ সোজা হয়ে বসতে হবে। যেন শরীরের রক্ত ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সেজদায় উঠা-নামার নড়াচড়া শেষে শান্ত হতে পারে। কিছু দোয়া হাদিসে আছে, সেগুলো পড়লে যতক্ষণ লাগে ততক্ষণ বসলেও চলে। তবে ন্যূনতম বসা বলতে যা বোঝায় তা পরিপূর্ণ হলেই পরের সেজদায় যাওয়া যাবে।
প্রশ্ন : আমি মুসলমান, কোনো হিন্দু লোককে সালাম দিতে পারব কি? যদি সালাম দিতে পারি, তাহলে কিভাবে সালাম দেবো, জানালে খুব উপকার হবে।
উত্তর : একজন মুসলমানের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত, বরকতপূর্ণ সালাম দেয়ার যে বিধান ইসলামে রয়েছে, তা কেবল মুসলমানদের জন্যই। অমুসলিমকে সালাম দেয়া যাবে, তবে তা ইসলামের সালাম নয়, সামাজিক ও মানবিক সালাম। এটি প্রচলিত নির্দোষ যে কোনো পন্থায় হতে পারে। বলা হয়, শান্তি অবস্থায় অমুসলিমদের জন্য সালাম এরকম ‘আসসালামু আলা মানিত্তাবাআল হুদা’। অর্থাৎ, আল্লাহর দেখানো পথ গ্রহণকারী এ সালামের উপযুক্ত। কোনো অমুসলিম সম্ভাষণ জানালে তার প্রতিউত্তর, গোনাহ হয় না এমন যে কোনো উপায়ে দেয়া চলে। অমুসলিম যদি মুসলমানের মতো সালাম উচ্চারণ করে, তাহলে প্রতিউত্তরে সমভাবে সালামের জবাব দেয়া যায়। তবে তাদের সাথে সালাম বিনিময়ের সময় হেদায়াতের শর্ত ও দোয়া অবশ্যই মনে মনে পোষণ করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন