বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জীবন দিয়ে হলেও মাফিয়া হটিয়ে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে : সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ এই অনির্বাচিত স্বৈরাচার সরকারের প্রতি অতিষ্ঠ ও বিক্ষুব্ধ। এই সরকারের হাত থেকে জনগণ মুক্তি চায়। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। একাত্তরের মত বর্তমানে আওয়ামী হানাদারদের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে সারাদেশের মানুষ মুক্তি পাগল হয়ে উঠেছে। আমাদের সভা সমাবেশগুলোকে মানুষের উর্মিমুখর ঢল নামছে। ১৪৪ ভেঙ্গে জনস্রোত নেমে আসছে রাজপথে। জনগণের এখন সংশপ্তক অঙ্গীকার-জীবন দিয়ে হলেও এ মাফিয়াদের হটিয়ে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী শাসনের ছত্রে ছত্রে শুধু পৈশাচিকতা ও বিভিষিকার উপস্থিতি। এরা গুমের কর্মসূচির বৃত্তের মধ্যে ভয়ংকর নাৎসীবাদী পন্থায় অপশাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এদের অন্তর্নিহিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ থেকে বিরোধী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করা।
১/১১›র কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণের লক্ষ্যে সংবিধানসম্মত তত্ত¡াবধায়ক সরকারকে উৎখাত করে বেআইনী সেনা সমর্থিত সরকার গঠন করা হয়। এক-এগারোর যে তান্ডব, বিরাজনীতিকরণের যে তান্ডব তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তার পরিবার। তাদের মূল লক্ষ্য ছিলো দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তিকে র্নিমূল করা। দুই বছর দেশকে ছিন্নভিন্ন করে ১/১১ এর বেআইনী সরকার পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙ্গে দিয়ে একটি পাতানো ভূয়া নির্বাচনের মাধ্যমে তাদেরই বশংবদ আরেক দুর্বৃত্ত লুটেরা গোষ্ঠী-আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে গেছে।
রিজভী বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেন’ ষড়যন্ত্রের সরাসরি বেনিফিশিয়ারি বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাশেখ হাসিনা স্পষ্ট করেই বলেছেন, কথিত ‘ওয়ান ইলেভেন’ তাদের আন্দোলনের ফসল। গত এক যুগের বেশী সময় ধরে এই আওয়ামী দস্যুরা ওয়ান-ইলেভেনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এদেশের মানুষের কাক্সিক্ষত গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় ফ্যাসীবাদী শাসন জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করেছে। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। বিনা নির্বাচনে পার্লামেন্ট, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। মানবাধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ভূলুণ্ঠিত করেছে। দেশকে গুম, খুন, অপহরণ, বন্দুকযুদ্ধ,অবিচার, অনাচার, লুটপাট, টাকাপাচার, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের অন্ধকার রাজত্বে ডুবিয়ে রেখেছে।
তিনি বলেন, বাস্তবে তথাকথিত ওয়ান ইলেভেনের পর পথ হারিয়েছে বাংলাদেশ, জনগণ হারিয়েছে বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার। কথিত ওয়ান ইলেভেনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, একজন মাত্র ব্যক্তির অবৈধ ক্ষমতার খায়েশ মেটাতে গিয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে জনগণের ওপর। একটি বিশেষ চক্র গণতন্ত্রকামী মানুষকে গুম, খুন, অপহরণ করতে গিয়ে দেশের জন্য কলংক বয়ে এনেছে। আজ সারা বিশ্ব থেকে নিষেধাজ্ঞা আসছে, এর মানে কী ? বিশ্বের একশটির বেশি দেশ মনে করে বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। ক্ষমতা দখল করে মানুষকে শোষণ করে নাম দিয়েছে রোল মডেল। কোন দেশ এই রোল মডেলের কথা বলেছে, অনুসরণ করেছে, তা জনগণ জানতে চায়।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
jack ali ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ৪:৫২ পিএম says : 0
You are other side of Awamileague. Man made law is Kafir Law. We need to rule our country by Allah's law only we will able to live in peace, prosperity with human dignity, freedom of speech, fare justice and there will be no more poor people in our sacred country.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন