কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘলা আকাশের সাথে দিনভর সূর্যের দেখা না মেলার মধ্যেই নগরীর বেশীরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ থাকায় সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের মত বরিশাল মহানগরীতেও শুক্রবার জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত। গত বুধবারও এ অঞ্চলে সূর্যের দেখা মেলেনি। মাঝে বৃহস্পতিবার একটি রৌদ্রকরোজ্জল দিন অতিবাহিত হলেও শুক্রবার সকাল থেকেই আর সূর্যের দেখা মেলেনি গোটা দক্ষিণাঞ্চলে। তবে তাপমাত্রার পারদ স্বভাবিকের অনেক ওপরে থাকলেও মৌসুমী পূবালী হাওয়ায় জনজীবন আরো বিপর্যস্ত হয়ে পরে।
একই সাথে বরিশাল মহানগরীর হাতেম আলী কলেজ ফিডার, আলেকান্দা ফিডার ও সার্কিট হাউজ ফিডারে দিনভর বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ থাকায় নগরীর বিশাল এলাকা যুড়ে আরো বিপর্যয় নেমে আসে। নগরীতে পানি সরবারহ সহ অনেক জরুরী পরিসেবও মুখ থুবুড়ে পরেছে বিদ্যুৎ সরবাহ বন্ধ থাকায়। অনেক বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতালে জরুরী অস্ত্রপচারও বিঘিœত হয়। মাত্র ১৫ দিন আগেও পর পর দুদিন এ নগরীর বেশীরভাগ এলাকায় সকালÑসন্ধা বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ ছিল।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ থেকে বরিশাল সহ উপক’লীয় এলাকায় হালকা-গুড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনার কথা জানিয়ে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মেঘনা অববাহিকা মাঝারী থেকে ঘণ কুয়শায় ঢেকে যাবার সম্ভবনার কথাও বলা হয়েছে। তবে শণিবারের পরবর্তি সময়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভবন দুর হয়ে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাবার সম্ভনার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। শুক্রবার সকালে বরিশালে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ৪.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশী, ১৬ ডিগ্রী থাকলেও উত্তর-পূবের হীমেল হাওয়ার সাথে দিনভর সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের অনুভুতি ছিল অনেক বেশী। তবে দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের কাছে পিঠেই ঘোরা ফেরা করলেও সূর্য আড়ালে থাকার পাশাপাশি হীমেল হাওয়ায় জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন