বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সভা-সমাবেশ পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত বিএনপির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

করোনাভাইরাস বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত দলের নির্ধারিত ৩২টি সভা-সমাবেশ নতুনভাবে পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, যে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছ সেই বিধি-নিষেধ অযৌক্তিক ও অকার্যকর। কিন্তু তারপরেও জনস্বার্থ এবং প্রাসঙ্গিক সব কিছু বিবেচনা করে এই সমাবেশগুলোর তারিখ পুনঃনির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিএনপি ও অঙ্গ দলসমূহের সকল কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলার নেতৃবৃন্দেকে পুনঃনির্ধারিত তারিখে সভা-সমাবেশ করার জন্য প্রস্তুতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। তবে তারিখ কবে হবে তা জানানো হয়নি সংবাদ সম্মেলনে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হতে পারে, হাটবাজার, দোকা-পাট, স্কুল-কলেজ সব খোলা থাকতে পারে। সেখানে বিশেষষজ্ঞরা বলছেন যে, উন্মুক্ত স্থানে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম, বদ্ধ স্থানে বেশি। সেখানে সরকার বদ্ধ স্থানে অনুমতি দেয়, উন্মুক্ত স্থানে দেয় না। মূল উদ্দেশ্যটা হলো আমাদের আন্দোলনের যে কর্মসূচিটা চলছিলো সেটাকে তারা প্রথমে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছে নানাভাবে শক্তিপ্রয়োগ করে, ১৪৪ ধারা জারি করে। গণতান্ত্রিক হরণের যেসব কাজ সবই করছে তারা। অগণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে এটাই তো স্বাভাবিক।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আরো আরো অনেক কাজ উন্মুক্ত আছে। সরকারের বিধিনিষেধের সাথে নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠান সাংঘর্ষিক।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আপনারা দেখেছেন যে, ডয়েচে ভ্যালের একটা সার্ভে হয়েছে। সেই সার্ভেতে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে, এটা কী সরকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য করেছে নাকী স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য করেছে। সেই সার্ভেতে ৮৮ শতাংশ মানুষ বলেছে যে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির পক্ষে এই কাজটি করা হয়নি।
এদিকে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার অনুমতির দাবিতে দ্বিতীয় ধাপে ৪০ জেলায় গত ৮ জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে বিএনপির। ইতোমধ্যে ৮টি জেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২৩ জেলায় সমাবেশ করে বিএনপি
গত ১৩ নভেম্বর থেকে লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সকাল ১১টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন