নিজের একক লড়াইয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। আজ তা মহীরুহে পরিণত হয়েছে। নিজের বয়সও বেড়েছে। এই নিয়ে তৃতীয়বার হ্যাট্রিক করে সরকারে বাংলার মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার দলের সংবিধানে বদল নিয়ে এসে ‘জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি’ পদ আনতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই বদল প্রথম। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্য করতেই ওই পদ তৈরি করা হচ্ছে। যিনি তৃণমূল সুপ্রিমো বাইরে থাকলে তার ভূমিকায় কাজ করবেন। কিন্তু কাকে এই পদে আনা হবে তা এখনও জানানো হয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আবার সাংসদও। সেক্ষেত্রে এই পদে তাকে আনা হবে কিনা তা নিয়ে গুঞ্জন চলছে। তবে এখনের পদটি ‘মনোনীত’। সংবিধান সংশোধনের পর তিনি ‘নির্বাচিত’ হলে দলের অন্দরে তার কর্তৃত্ব আরও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ, তার মতই হবে দলের গাইডলাইন।
সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসে ভারসাম্য বজায় রাখতে গঠন করা হবে একটি ‘জাতীয় পরিষদ’। তার সদস্যসংখ্যা রাখা হবে দু’হাজার। ওই পরিষদের সদস্যদের মধ্যে নির্বাচিত এবং মনোনীত— দু’ধরনের প্রতিনিধিই থাকবেন। যাদের নিয়ে হবে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি। তারাই জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতিকে পাঁচ বছরের মেয়াদে নির্বাচিত করবে। একইসঙ্গে এখানে ৬ জন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ করা হবে। দলেলের সদস্যপদ এবং সদস্যদের ‘ফি’ নিয়েও বদল আনা হচ্ছে।
এখন রাজ্যস্তর ছাড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় স্তরে পা রাখতে শুরু করেছে। তাই দলের কাঠামোর পুনর্বিন্যাস অত্যন্ত জরুরি। এই প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসে ‘অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র’ স্থাপিত হতে চলেছে। এই গোটা বিষয়টি প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের মস্তিষ্কপ্রসূত। বিষয়টি জানানো হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। নিউজ পোর্টাল ‘দ্য প্রিন্ট’ ওই খবর পেয়েছে বলে দাবি করেছে। ২০২১ সালের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও দলীয় সংবিধানে বদল আনার কথা বলা হয়েছিল। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন