শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আমতলীতে কথিত ৩ চিকিৎসককে জরিমানা

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

বরগুনার আমতলী পৌর শহরের কথিত তিন চিকিৎিসক কেএম আসাদুজ্জামান জাফর, এলাহি মোল্লা ও কেশব চন্দ্র শীলকে অপচিকিৎসা, চিকিৎসা দেয়ার বৈধতা না থাকার কারণে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ওই তিন ব্যক্তি আর কোন দিন কাউকে কোন প্রকার চিকিৎসা দিবে না বলে মুচলেকা প্রদান করেছে। ওই তিন ব্যক্তি আমতলী পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিগত চেম্বার বসিয়ে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষকে অপচিকিৎসা দিয়ে আসছে। জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল ইসলাম আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সুমন খন্দকার, ডাঃ তানজিরুল ইসলাম নেতৃত্বে থানা পুলিশের সহায়তায় চিকিৎসা দেয়ার কোন প্রকার বৈধতা না থাকার মহিলা কলেজ রোড থেকে কেএম আসাদুজ্জামান জাফর, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে এলাহি মোল্লা এবং আমতলী সরকারি কলেজের সামনে কেশব চন্দ্র শীলকে আটক করে। পরে তাদের চিকিৎসা দেয়ার বৈধ কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করা হয়। আটক তিন ব্যক্তির চিকিৎসা দেয়ার কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় নামধারী কথিত ডা. কে এম আসাদুজ্জামান জাফরকে ৫ হাজার, এলাহি মোল্লাকে ৮ হাজার ও কেশব চন্দ্র শীলকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় আটক ওই তিন ব্যক্তি এতদিন বিধি বর্হিভূতভাবে সাধারণ মানুষকে যে চিকিৎসা দিয়ে আসছে তার জন্য দুঃখ ও ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যতে আর কোন দিন চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিবেন না বলে নিজ হাতে মুচলেকা প্রদান করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সুমন খন্দকার বলেন, ওই তিন ব্যক্তির চিকিৎসা দেয়ার কোন বৈধতাই নেই। অথচ তারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত চেম্বার নিয়ে প্রকাশ্যে রোগী দেখছেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, আটক তিন ব্যক্তিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও আর কোন দিন চিকিৎসা দিবে না বলে মুচলেকা প্রদান করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন