ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রদূত তাকে জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, সতর্ক করার জন্য।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাক্ষাতের সময় দুই দেশের কৃষি, অর্থনীতি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা ইস্যু এবং সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় মার্কিন দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাচে মেগান ফ্রান্সিস উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে কথা হয়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তারা উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে একইভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। আমি বলেছি বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যুক্তরাষ্ট্র সরকার মানবাধিকারের বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশ সফলভাবে জঙ্গি দমন করতে পেরেছে বলে তারা প্রশংসা করেছেন। তাদের ধারণা কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। সেটার উন্নতি হওয়া দরকার। তারা আশা করে এটা হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের বলেছি, আমাদের দেশে মানবাধিকার পরিস্থিত ভালো। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশ কঠোরভাবে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করেছে। কিছু জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হয়তো ভুল করেছে। সেজন্য ১৯০ জন র্যাব কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাথে কথা বলবেন। যাতে দ্রæত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
সাক্ষাৎকালে দেশের কৃষি উৎপাদনের অভাবনীয় সাফল্যের কথা তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী। রাষ্ট্রদূতকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৃষিখাতে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ইউএসএ বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা সিস্টেম (এনএআরএস) উন্নয়নে বেশ সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশ গত ৫০ বছরে কৃষি উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ইউএসএর মধ্যে কৃষিখাতে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। দুদেশের মধ্যে কৃষি বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন ইউএসএর কৃষি পণ্যের ২৬তম বাজার। সামনের দিনগুলোতে কৃষিখাতে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন