বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, ‘‘আইভী কোনো ফ্যাক্টর নয়। খেলা হয়েছে ‘সরকার বনাম তৈমূর’ বলে জানিয়ে তিনি দাবি করেছেন, ‘প্রশাসনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইভিএম কারচুপির কারণেই এই পরাজয়। ইভিএম চুরির বাক্স। নারায়ণঞ্জের নির্বাচনের ফলাফল কী হয়েছে সেই বিবেচনার ভার আমি প্রধানমন্ত্রীকে দিলাম।’’
রবিবার অনুষ্ঠিত নাসিক নির্বাচন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন। তৈমূর বলেন, ভোটে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। তবে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পারেনি। না হলে ভোটের ব্যবধান এত হতো না। তৈমূর অভিযোগ করেন, ‘ইভিএম স্লো থাকার কারণে অনেকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে চলে গেছেন। কোথাও কোথাও অকেজো ও হ্যাং হয়ে গেছে। তা ছাড়া ভেতর থেকেও ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে। তা না হলে ব্যবধান এত বেশি হতো না।
ধরপাকড়ের অভিযোগ করে তৈমূর আরো বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমার লোকজন বাড়িতে থাকতে পারেনি। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালের মতো মানুষের বাসায় নির্বাচনের আগের দিন অভিযান চালানো হয়েছে। তাঁর ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। এমন কোনো কর্মী নেই যার বাড়িতে পুলিশ যায়নি, যাকে ভয় দেখানো হয়নি। সিটি করপোরেশন চালাতে আইভীকে সহযোগিতা করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে সহযোগিতা করি কি না তা তাকেই জিজ্ঞেস করেন।
ভবিষ্যতে বিএনপির রাজনীতি করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করতে দল লাগে। পদ-পদবি লাগে না। তৈমূর আলম খন্দকারের পদ লাগবে না। বিএনপি আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। এটা নিয়েই মরতে চাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন