একমাত্র ছেলে সুহাদ হোসেন খান (৩৫) হাউজিং ইলেকট্রিক ঠিকাদার। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকেন ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় ফ্ল্যাট বাসায়। অন্ধ ও পঙ্গু গর্ভধারিণী বৃদ্ধা মা মোরশেদা খানম পিংকুলের (৬০) খোঁজ নেয় না ৮ বছর ধরে।
এ বিষয়ে খাসকাউলিয়া গ্রামের বাসিন্দা চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হযরত আলী মাস্টার জানান, আমি একটানা ২৭ বছর ও পরে ৩ বছর ভারপ্রাপ্ত মোট ৩০ বছর চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলাম। সে সময়ে সহযোদ্ধা চৌহালী উপজেলার ঘোরজান ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ছিলেন মোরশেদা খানম পিংকুল। তিনি ১৯৯২ সাল থেকে টানা ১০ বছর এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি তিনি চৌহালী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগেরও দায়িত্বে ছিলেন। আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কাণ্ডারি মোরশেদা খানম পিংকুল আওয়ামী লীগের সব আন্দোলন সংগ্রামের সম্মুখ সারির সহযোদ্ধা ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন চৌহালী উপজেলা আনসার ও ভিডিপির দলপতি ছিলেন।
শত শত অসহায় অনাহারী নারীদের তিনি সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। তাদের মুখে আহার তুলে দিতে তিনি অফিসে অফিসে ঘুরে বিধবা ভাতা কার্ড, বয়স্ক ভাতার কার্ড, স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতার কার্ড, ভিজিডি ও ভিজিপি কার্ড করে দিয়েছেন। সরকারি-বেসরকারি রিলিফ ও ত্রাণ পাইয়ে দিয়েছেন বহু অসহায় মানুষকে। গর্ভবতী মা ও দুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন।
আজ তার এ অসহায় অবস্থায় তার বিত্তবান একমাত্র ছেলে তার পাশে নেই। সে প্রায় ৮ বছর ধরে তার মায়ের কোনো খোঁজখবর নেয় না।
তার ছেলে বিয়ে করে এখন ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় ফ্ল্যাট বাসায় স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘ আট বছর ধরে মায়ের কোনো খোঁজ ও ভরণপোষণ দেন না। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন কাজ হয়নি। তিনি কোনো পরিচয় ও বাসার ঠিকানা দেন না। ফলে স্বামী-সন্তানের শোকে কাঁদতে কাঁদতে তিনি অন্ধ ও অসুস্থ হয়ে গেছেন। টাকার অভাবে চিকিৎসা না করতে পেরে তার দুই পা পঙ্গু হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে চৌহালী আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজউদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন