শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ফকির ও বর্তমান চেয়ারম্যান জামাল হোসেন ফকিরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনায় বর্তমান চেয়ারম্যানের অন্তত ১০ জন সমর্থক আহত হয়েছে বলে দাবী করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, গত ১১ নভেম্বর তুলাসার ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ফকিরকে পরাজিত করে জামাল হোসেন ফকির বিজয়ী হয়। নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান জামাল হোসেন ফকির গত ২৩ ডিসেম্বর শপথ গ্রহণ করে। ১৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদের বসার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন নতুন চেয়ারম্যান জামাল ফকির। সেই লক্ষ্যে ১৭ জানুয়ারি নতুন চেয়ারম্যান তার সমর্থকদের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে আসেন। অপর দিকে পরাজিত সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদ ফকিরও তার সমর্থকদের নিয়ে আড়িগাঁও বাজারস্থ তার ক্লাব ঘরে অবস্থান করেন। এক পর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে বিজয়ী ও পরাজিত চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষ। এতে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
বর্তমান চেয়ারম্যান জামাল হোসেন ফকির বলেন, মঙ্গলবার পরিষদে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিষদের পরিবেশ পরিদর্শনের জন্য ১৭ জানুয়ারি সোমবার সকালে পরিষদে যাই। অপর দিকে পরাজিত সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদ ফকির পৌরসভা, ডোমসার, চিকন্দী, বিনোদপুর ও চিতলিয়া ইউনিয়ন থেকে লোকজন নিয়ে এসে তার ক্লাবে অবস্থান করে। এক পর্যায়ে আমার সমর্থকদের উপর জাহিদ ফকিরের লোকজন হামলা চালায়। এতে আমার অন্তত ১০ সমর্থক আহত হয়েছে। পরবর্তীতে আমি পুলিশে সংবাদ দেই। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদ ফকির বলেন, নির্বাচনের পর থেকে আমার সমর্থকরা বাজারে গেলেই অপমান অপদস্থ্য করে। ইতোমধ্যে অন্তত ১০০ জন সমর্থকের গায়েও হাত দিয়েছে। আমি চুপ করে বাজারে গিয়ে এককাপ চা খেয়ে চলে আসি। সোমবার সকালে আমি আমার ক্লাবে বসি। সেখানে আরো কয়েকজন লোক এসে বসে। তখন চেয়ারম্যান জামাল ফকিরের লোকজন এসে আমি ও আমার সাথে বসে থাকা লোকদের উপর হামলা চালায়। ক্লাব ও চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে।
পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আক্তার হোসেন বলেন, তুলাসারে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। সংবাদ পেয়ে আমি ফোর্স নিয়ে সেখানে পরিস্থিতি শান্ত করি। পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন