ভোটের ময়দানে যাই থাকুক অতীত সম্পর্কটা ছিল চাচা ভাতিজির। ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাবা প্রয়াত পৌর পিতা আলী আহাম্মদ চুনকার শিষ্য ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। তখন থেকেই তাদের সম্পর্কটা অনেক। চুনকা জীবিত থাকাকালে তাঁর পাশেই থাকতেন তৈমূর। দুইজনই রাজনৈতিক বক্তব্য দিলেও কেউ কাউকে ব্যক্তি আক্রমণ করে বক্তব্য দেননি। ভোটে জিতে যাওয়ার পরদিনই তৈমূরের বাসায় ছুটে যান আইভী। দুইজন একত্রে যখন, তখন এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আইভীকে পেয়ে বুকে টেনে নেন তৈমূর।
আজ (১৭ জানুয়ারী) বিকেল পৌনে ৫টায় মাসদাইরে মজলুম মিলনায়তনে যান আইভী। সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আদিনাথ বসু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। ওই সময়ে বাসার নিচ তলাতেই অবস্থান করছিলেন তৈমূর ও তার পরিবারের লোকজন। রুমে ঢুকতেই আইভীকে বুকে টেনে নেন তৈমূর। তখন আইভী বলেন, ভোটে যাই হোক আমরা তো চাচা ভাতিজি। এ সম্পর্কটা আর কখনো নষ্ট হবে না।
এর আগে গতকাল (১৬ জানুয়ারী) আইভী বলেছেন, এ জয় শেখ হাসিনার, আইভীর ও নারায়ণগঞ্জবাসীর। আমার এ জয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারও খুশি হবেন। কাকা (তৈমূর আলম খন্দকার) অনেক ভোট পেয়েছেন তাকে অভিনন্দন জানাতে চাচ্ছি। আপনার মেয়ে জিতেছে। মেয়ে তো জিতবেই, বাবারা সব সময় মেয়েদের জিতিয়ে দেয়। তিনি যেহেতু আমার চাচা তিনিও খুশি হয়েছেন যে চুনকার মেয়ে জিতেছে, উনারই মেয়ে জিতেছে। তার যে পরিকল্পনা আছে আশা করি সেগুলো বাস্তবায়নে তিনি আমাকে সহায়তা করবেন। আমি বলব এখানে মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশি। এখানে নৌকা আর আইভী এক।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর দাপুটে জয়ে পরাভূত হয়েছেন স্বতস্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ১৯২ কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে নৌকা পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট। আর হাতি প্রতীকে তৈমূর পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন