শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

যাত্রীবেশে ভয়ঙ্কর ডাকাত চক্রের আরো ৩ জন গ্রেফতার

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে তুলে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত একটি চক্রের আরও তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এর আগে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল। মোট নয় জনকে গ্রেফতারের পর এখন র‌্যাব-ডিবি বলছে, চক্রের আর মাত্র একজন সদস্য এখনও পলাতক আছে।

গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ জানিয়েছেন, রোববার রাত সোয়া ২টায় নগরীর পাহাড়তলী থানার উত্তর কাট্টলী জেলেপাড়া ব্রিজের কাছ থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি দোনলা বন্দুক, দু’টি এলজি এবং চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার তিনজন হলেন- সরোয়ার হোসেন মনু (৩৪), মো. রিপন (৩২) এবং তাসলিয়াম বেগম (৩৬)। মনু এই চক্রের মূলহোতা।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম ও বন্দর শাখা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন- শাহ আলম আকন (৩২), আবুল কালাম (৪৭), জাকির হোসেন সাঈদ (৩৬), মো. আল আমিন (২৯), মিজানুর রহমান (৫৩) এবং নাহিদুল ইসলাম ওরফে হারুন (৩১)। র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া তাসলিমা বেগম ডিবির হাতে গ্রেফতার মিজানুর রহমানের স্ত্রী। চক্রের ১০ সদস্যের মধ্যে এখন তাসলিমার ভাই শামছুল শুধু পলাতক আছে বলে জানিয়েছেন ছয় জনকে গ্রেফতারে নেতৃত্ব দেওয়া নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ডিবি-পশ্চিম) নোবেল চাকমা।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর নগরীর অলঙ্কার মোড় থেকে মাইক্রোবাসে উঠে নির্মমভাবে খুনের শিকার হন হোসেন মাস্টার নামে এক প্রবাসী। পাহাড়তলী থানায় এ সংক্রান্ত মামলার ছায়া তদন্তে নেমে ডিবি ছয় জনকে গ্রেফতার করেছিল। ডিবি জানিয়েছিল, হোসেন মাস্টারকে খুনের সময় মাইক্রোবাসে শাহ আলম, আবুল কালাম, জাকির, আল আমিন, মনু ও রিপন এই ছয়জন ছিল। গোয়েন্দা কর্মকর্তা নোবেল চাকমা বলেন, আমরা শাহ আলম, কালাম, জাকির ও আল আমিনকে গ্রেফতার করেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকা-ে রিপন ও মনুর সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছিল। এছাড়া তাদের চক্রের আরেক সদস্য শামছুর কথা বলেছিল। শামছু এখনও পলাতক আছে। র‌্যাব জানায়, হোসেন মাস্টারকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা মনুও স্বীকার করেছে।
তারা দু’টি মাইক্রোবাস ব্যবহার করে ছিনতাই-ডাকাতি করত। হোসেন মাস্টারকে খুনের ঘটনায় যে মাইক্রোবাসটি ব্যবহৃত হয়েছিল সেটি মিজানুর রহমান দিয়েছিল, যেটি তার স্ত্রী তাসলিমার নামে নিবন্ধিত। তাসলিমা নিজেও চক্রের সদস্য। তাসলিমার ভাই শামছু শুধু পলাতক আছে। তাকে ধরার চেষ্টা করছি। জিজ্ঞাসাবাদে মনু ঢাকা-মাওয়া সড়কেও একই কায়দায় ছিনতাইয়ের কথা জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা-পর্ণোগ্রাফিসহ বিভিন্ন অভিযোগে কমপক্ষে ১০টি মামলা আছে।
গণধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামি গ্রেফতার
সীতাকুন্ডে পোষাক শ্রমিককে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গণধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামি আবদুল আলীম লিংকনকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রোববার রাতে সীতাকু- থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব জানায়, গত ২৪ নভেম্বর নাইট শিফটের কাজ শেষে মার্স টেক্সটাইল কারখানা থেকে কারখানার গাড়িতে বাঁশবাড়ীয়া বাজারে এসে নামে এক নারী শ্রমিক। হেঁটে বাড়ি যাওয়ার পথে লিংকন ও তার সহযোগীরা তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোর করে প্রাইভেটকারে তুলে নেয়। পরে তাকে বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়াকুল বসুন্ধরা প্রজেক্টে নিয়ে লিংকন, হান্নান ও জাহিদ মিলে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সীতাকু- থানায় একটি মামলা হয়। গ্রেফতার লিংকনের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন