গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির সামনের আন্দোলনও সরকার রক্তাক্ত পন্থায় দমন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, গুম-খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র্যাবের বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন তাদেরকে পুলিশে দেওয়া হচ্ছে। যদিও সরকার পুলিশকে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে, তারপরও যতটুকু ইমেজ পুলিশের আছে সেটুকুও এর মধ্য দিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হলো। এর মধ্য দিয়ে সরকার এই বার্তা দিচ্ছে যে, এখানে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ সমালোচনা করতে পারবে না। কোনো বিরোধী দল থাকবে না, থাকলেও তারা টু-শব্দটি করতে পারবে না।
গতকাল সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা এমনিতেই এখন ঘোর দুর্দিনের মধ্যে বসবাস করছি। জাতীয়তাবাদী দল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সবসময় একটা আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করতে হয়। কখন গ্রেফতার-গুম হতে হয়। কারণ, বর্তমান সরকার একটি অগণতান্ত্রিক সরকার। সরকারের যেকোনো বিরোধিতা-সমালোচনা তারা দমন করতে চায় রক্তাক্ত পন্থায়। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, র্যাবের কর্মকর্তাদের পুলিশে দেওয়ার ফলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সামনে যে আন্দোলন হবে সেই আন্দোলনও গুম-খুন-বন্দুকযুদ্ধের মাধ্যমে দমন করবে সরকার। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েলের আশু আরোগ্য কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, আনু মো. শামীম আজাদ, ইয়াছিন আলী প্রমুখ। দোয়া মাহফিলে স্বেচ্ছাসেবক দলের কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল, ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে কৃষক দল আয়োজিত অপর এক দোয়া মাহফিলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আপনারা (সরকার) অত্যাচার ভয় দেখিয়ে বিরোধী দল ও মতকে বন্ধ করতে পারেন। কিন্তু আমেরিকা, জার্মান, বৃটেনের মুখ বন্ধ করবেন কিভাবে? তারা কি দেখে না! তারা সবই দেখছে। র্যাবের বিরুদ্ধে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কি অযৌক্তিক? তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। বিএনপির ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, জনি, সুৃমনসহ অসংখ্য নেতাকর্মীদের কালো মাইক্রোবাস দিয়ে তুলে নিয়ে গেছেন। এগুলো কি আশেপাশের মানুষ দেখে না? দেশের মানুষকে রক্তচক্ষু দেখাতে পারেন, কিন্তু বিদেশীদের পারবেন না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজ উদ্দিম আহমেদ নশু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, হায়দার আলী লেলিন, শফিকুর রহমান মিঠু প্রমুখ।###
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন