সুদানে এখন সেনাবিরোধী বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সেই বিক্ষোভ বন্ধ করতে গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
গতবছর অক্টোবর থেকে সুদানে সেনাশাসন চলছে। তারপর শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে। সেই বিক্ষোভের জেরে আব্দাল্লা হ্যামডককে আবার প্রধানমন্ত্রী করে সেনা। হ্যামডক গত ৩ জানুয়ারি ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছিলেন, সেনা ও সরকারের মধ্যে বিরোধ লেগে আছে। রাজনৈতিক দলগুলি এক হতে পারছে না। তিনি চেষ্টা করেও কিছু করতে পারছেন না। তাই ইস্তফা দিচ্ছেন।
তারপর থেকে আবার সেনাশাসনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাজধানী খার্তুমে প্রচুর মানুষ বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন। দেশের অন্যত্রও বিক্ষোভ হচ্ছে। সেনাবিরোধী এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন নারী ও বাচ্চারা। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ চলছে।
সেনাশাসকরা বিক্ষোভ বরদাস্ত করতে রাজি নয়। তারা কড়া হাতে বিক্ষোভ মোকাবিলা করতে চাইছে। সোমবার বিক্ষোভে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেন্ট্রাল কমিটি অফ সুদানিজ ডক্টরস জানিয়েছে, একাধিক জায়গায় গুলি চলে। অন্ততপক্ষে সাতজন মারা গেছেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সব পক্ষকে সংযত হওয়ার আবেদন জানিয়েছে। সেনাশাসকদের তারা বলেছে, সুদানে যেন মানবাধিকার রক্ষা করা হয়। মতপ্রকাশের অধিকার ও বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার মানুষের আছে। সেটা যেন মাথায় রাখেন শাসকরা।
কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ দেখলেই লাঠি, গ্যাস, গুলি দিয়ে তার মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে। এখনো পর্যন্ত তারা আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করেনি। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন