শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুষ্টিয়ায় দুদকের মামলায় কলেজ শিক্ষিকা কারাগারে

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২২, ১:৩০ পিএম

কুষ্টিয়ায় জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের স্ত্রী ও কলেজ শিক্ষক মোছা. কামরুন্নাহারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

এর আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। বিচারক সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের (২০২১) ২৭ সেপ্টেম্বর সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন, কুষ্টিয়ার উপ-সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
মামলার এজাহারের বলা হয়, ১৯৯৪ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ও স্ত্রী কামরুন্নাহার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৫২লাখ ১৬ হাজার ৫৭৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেন।

সেই সঙ্গে অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ বিভিন্ন জনের কাছে হস্তান্তর ও রূপান্তরসহ স্থানান্তর করে ২০০৪ সালের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২র ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অপরাধ সংগঠনসহ দ:বি: ১০৯ ধারার অপরাধ করেছেন।
অপরদিকে বিবাদী পক্ষের কৌশুলী অ্যাড. শেখ মো: আবু সায়িদ বলেন, এই মামলায় বিবাদী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।


আদালতের আদেশ অনুযায়ী সোমবার সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত সেই আবেদনের শুনানি শেষে বিবাদী মোছা. কামরুন্নাহারকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আমরা এই আদেশের বিরুদ্ধে এবং ন্যায় বিচার চেয়ে উচ্চ আদালতে যাব।
উল্লেখ্য এর আগে এই মামলার অপর বিবাদী কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে প্রাপ্ত অন্তবর্তী জামিন শেষে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকেও কারাগারে পাঠান। পরে তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিনে কারামুক্ত হন। একই ভাবে তার স্ত্রী কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের শিক্ষক মোছা. কামরুন্নাহারও জামিনে ছিলেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Nasim ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:২৯ এএম says : 0
এই কলেজের আরেকটি বিল্ডিং এর নিচ তালায় মাতকেট করার জন্য দোকান দেবে বলে ১৫-২০ লক্ষ টাকা পরজন্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখোনো তার কোনো খবর নাই। রেলের পাশে যে বিল্ডং হয়েছে তা অপরিপুন্ন৷ এখোনো হান্ড অভার করে নাই। 2 বছর হয়ে গেলো প্রায়৷
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন