স্টাফ রিপোর্টার : কেবল শিক্ষা ও যোগ্যতার মাধ্যমেই মানুষ প্রকৃত সফল হয় না। নৈতিক ও আত্মিক শক্তিই একজন আলেমকে সফল ব্যক্তিত্বে পরিণত করে। বড় আলেমের জন্য ঈমানী ক্ষমতা ও আধ্যাত্মিক যোগ্যতা অপরিহার্য। পাক-ভারত উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ হাদিস বিশারদ আল্লামা নিয়ায মাখদুম খোতানী (রহ:)-এর ৩০তম ইন্তেকাল বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার রাতে ডেমরার ঐতিহাসিক দারুননাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসায় আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। দারুননাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসা মিলনায়তনে প্রফেসর ড. এ এইচ এম ইয়াহইয়া রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা করেন দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, সাবেক জজ আলহাজ ইসমাঈল মিয়া, অধ্যক্ষ আ খ ম আবু বকর সিদ্দীক, অধ্যক্ষ আবুল এরশাদ মুহাম্মাদ সিরাজুম মুনীর, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মুহা: সাদেক হাসান, ড. আবু সালেহ পাটোয়ারী, ব্যারিস্টার এ বি এম ছিদ্দিকুর রহমান খান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির ভাষণে মাওলানা নদভী বলেন, চীন থেকে রুশ বিপ্লবের প্রতিক্রিয়ায় মজলুম অবস্থায় হিজরত করে আসা আল্লামা নিয়ায মাখদুম খোতানী (রহ:) তার কর্মজীবনের দীর্ঘ সময় দক্ষিণ বাংলার ছারছীনায় ব্যয় করে বাংলাদেশের বুকে ইলমে দ্বীনের মশাল প্রজ্বলিত করে গেছেন। তাঁর ছাত্ররা বিশ্বব্যাপী ইসলামের সৈনিক হিসেবে বিশাল অবদান রেখে চলেছেন। তাঁর মতো বহুমুখী গুণের অধিকারী অধ্যাত্মিক ও জ্ঞানী ব্যক্তির আজকের বিশে^ খুব বেশি প্রয়োজন। নতুন প্রজন্মের জীবন গঠনে মরহুম আল্লামার আদর্শ বড় সম্পদ বলে বিবেচিত হবে। তাঁর বহুভাষায় রচিত গ্রন্থাবলি প্রকাশিত হওয়া খুবই প্রয়োজন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন