বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আকাবার প্রবাল সইতে পারে উচ্চতাপ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৫:৪৬ পিএম

আশা জাগাচ্ছে আকাবা উপসাগরের প্রবাল। পরবর্তীতে প্রাচীর পুনর্নিমাণ করা যেতে পারে এই প্রবালগুলির সাহায্যে, বলছেন সংরক্ষণবিদেরা।

লোহিত সাগরের উত্তরে আকাবা উপসাগরের স্বচ্ছ উষ্ণ পানিতে একঝাঁক রঙিন প্রবালের বসবাস। সূর্যালোক পেলেই রঙিন প্রবালদ্বীপ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ বেরিয়ে আসে। কচ্ছপ আর অক্টোপাসদের সঙ্গে দিব্যি সাঁতার কাটে। তবে সমুদ্রের পানিরর উষ্ণতা বাড়লে ফ্যাকাশে হয়ে পড়ে প্রবালগুলি, মারাও যায়। প্রভাব পড়ে বাস্তুতন্ত্রে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রবাল প্রাচীর (গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ) পানির উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ধীরে ধীরে ফ্যাকাশে হয়ে পড়েছে। একসময়ের ঝলমলে প্রবাল এখন পানির তলায় রং হারিয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বিশ্বের ১৪ শতাংশ প্রবাল প্রাচীর ১০ বছরেরও কম সময়ে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

ইসরাইলের দ্য ইন্টার ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটের সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক মাওজ ফাইনের দাবি, গ্রীষ্মে আকাবা উপসাগরের প্রবালগুলি প্রায় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সইতে পারে। লোহিত সাগরের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি জানতে বিশেষ অ্যাকোয়ারিয়াম তৈরি করেছেন তারা।

আকাবার প্রবালগুলি গ্রীষ্মের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার চেয়ে আরও ৬ ডিগ্রি বেশি সইতে পারে। ২০টি প্রবাল প্রজাতির উপর পরীক্ষা করে দেখেছেন ফাইন ও তার সহযোগীরা। আকাবার প্রবালগুলি বিশ্ব উষ্ণায়নের পরও বেঁচে থাকতে পারবে বলে আশা এই বিজ্ঞানীর।

সউদী আরবের কিং আবদুল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সমুদ্রবিজ্ঞানী ম্যানুয়েল আরান্ডা জানান, আকাবার প্রবালগুলি ভবিষ্যতে আশার আলো। যেভাবে বীজ পুঁতে গাছ হয়, সেভাবে প্রবাল বাঁচানো যায় না। সমুদ্রের গভীরে গিয়ে নার্সারি তৈরি করতে হয়।

প্রবাল রোপণ করা কঠিন, তবে উষ্ণতা সহ্য করতে পারে এমন প্রবাল প্রজাতিকে শনাক্ত করে ভিন্ন প্রজাতির সঙ্গে ক্রস ব্রিডের মাধ্যমে উষ্ণতা সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। যদিও অনেক প্রজন্ম সময় লেগে যায় উষ্ণতা সইতে, জানান সমুদ্রবিজ্ঞানী আরান্ডা।

জর্ডনের সংরক্ষণবিজ্ঞানী ইহাব ইড জানান, আকাবা উপসাগরের বাস্তুতন্ত্র বৈচিত্রপূর্ণ। ১৫৭টি কঠিন প্রবাল এবং ৫০০টি মাছের প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। মাছগুলির বেঁচে থাকা প্রবালগুলির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু আকাবার প্রবালগুলির ক্ষতি হতে পারে দূষণে।

শুধু সমুদ্রের প্রাণীজগৎ নয়, বিশ্বজুড়ে পাঁচ কোটি মানুষের রুটিরুজির নিরাপত্তা এর উপর নির্ভরশীল। কারণ প্রবাল থেকে খাবার আসে, তৈরি হয় ওষুধও। আকাবার প্রবাল এ শতকের শেষ আশা, ভবিষ্যতের জন্য একে বাঁচাতেই হবে, আর্জি জানাচ্ছেন সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা। সূত্র: ডয়চে ভেলে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন