শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কনজারভেটিভ এমপি’র দলত্যাগ, মদ পার্টির খেসারত দিচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:১৯ পিএম

লকডাউনের নিয়ম ভঙ্গ করে মদের পার্টির আয়োজন নিয়ে দারুণ চাপে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার আচরণ ‘মর্যাদাহানিকর’ আখ্যা দিয়ে এক কনজারভেটিভ এমপি দলত্যাগ করে বিরোধীদল লেবার পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন।
ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের বুরি সাউথ থেকে নির্বাচিত ওই এমপ’র নাম ক্রিশ্চিয়ান ওয়েকফোর্ড। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনসনের নীতি তার এলাকার লোকজনের কোনও উপকারেই আসছে না। যে কারণে তিনি প্রধান বিরোধীদল লেবার পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন।
২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মত এমপি নির্বাচিত হওয়া একজন ওয়েকফোর্ড। জনসনের মদেরপার্টি কাণ্ড নিয়ে তার দলের যারা তীব্র সমালোচনা করেছেন তাদের মধ্যে ওয়েকফোর্ডও আছেন।
২০২০ সালের ২০ মে জনসনের কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে যখন মদের পার্টি চলে তখন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যুক্তরাজ্যে কঠোর লকডাউন চলছিল। ওই কাণ্ডসহ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আরও কিছু ভুলের কারণে নিজ দল থেকেই তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
জনসন তার নিজের কাজের জন্য বারবার ক্ষমা চাইছেন। কিন্তু তার ভাবমূর্তির যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে। তার দলের এমপি’রা এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করে ১৯২২ কমিটিকে চিঠি লেখার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন।
বিবিসি-র রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক লরা কুনেসবার্গ এক টুইটে জানান, ‘‘নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ২০১৯ সালে জয়ী হওয়া এমপি’দের একটি দল চিঠি পাঠাতে যাচ্ছে। সেই দলে হয়ত ৫৪ জন এমপি আছেন।”
জনসনের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হলে পার্লামেন্টে ৩৬০ জন কনজারভেটিভ এমপির মধ্যে অন্তত ৫৪ জনকে দলের ১৯২২ কমিটির কাছে চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে চিঠি লিখতে হবে।
‘দ্য টাইমস’ পত্রিকা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে, কনজারভেটিভ দলের ৫৮ জন এমপি খোলাখুলি প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন।
অথচ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হওয়া জনসনের দল ২০১৯ সালের নির্বাচনে রেকর্ড জয় নিয়ে ক্ষমতায় আসে।
৩০ বছরের বেশি সময় পর তারা পার্লামেন্টে এতবড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় তার দলের এমপিরাই লজ্জিত হচ্ছেন।
বিরোধী দলের নেতারা জনসনকে ‘সিরিয়াল লায়ার’ বলে আগেই তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
এদিকে, জনসন যদি সত্যিই পদত্যাগে বাধ্য হন তবে যুক্তরাজ্যকেও সংকটে পড়তে হতে পারে। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে গত প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে দেশটিতে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির জন্য সামনে হয়তো আরো অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। সূত্র : বিবিসি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন