সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী তাদের প্রচলিত যে দায়িত্বগুলো পালন করে সেগুলো পালনের ক্ষেত্রে বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি নিজেই এখানে এসেছি, এটা ইনডিকেট করে যে, আমি এটাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা সোনার বাংলা গড়ার যে অভীষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি, সেখানে সামরিক প্রশাসনের সঙ্গে বেসামরিক প্রশাসন যদি একসঙ্গে কাজ না করে তাহলে আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।
সেনাপ্রধান বলেন, আমরা ক্ষেত্রগুলো আলোচনা করলাম। আমরা সবাই একমত যে, এটার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বর্তমানে আমাদের অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আমরা এটাকে ক্যাপিটালাইজড করে আরও এগিয়ে যেতে চাই। ডিসিদের কাছ থেকে কোনো প্রস্তাব এসেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্পেসিফিক সেরকম কোনো প্রস্তাব নেই। কিন্তু আমাদের যেসব সিভিল মিলিটারি রিলেশন বাড়ানোর ক্ষেত্র আছে, সেগুলো আলোচনা করেছি। কিছু কিছু প্রস্তাব আছে যেগুলো এখনই বললে প্রিম্যাচিউরড হয়ে যাবে। আমরা আরও একটু আলোচনা করে দেখবো, তারপর ওটাকে বাস্তবায়ন করা যাবে।
কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার তরফ থেকে যেকোনো কাজ একসঙ্গে করার জন্য একটা পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ভালো পরিবেশের জন্য ভালো সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। আমি ফোকাস করেছি যেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ে। যত কমিউনিকেশন হবে, কমিউনিকেশন গ্যাপ তত কম হবে। কমিউনিকেশন গ্যাপ যত কম হবে, তত আমাদের কাজ করার সুবিধা বাড়বে। এই কথাটা অন্যান্য বক্তব্যের সঙ্গে বলেছি।
নির্বাচনের মাঠে দায়িত্বপালন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, আমরা যে ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ করি তার মধ্যে প্রথম দায়িত্ব হলো দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি ইন-এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা নেশন বিল্ডিং একটিভিটিজ করি, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কাজ করি। আমরা ল’ ইনফোর্সমেন্টকে সহায়তা করি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন