পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের সহকর্মীরা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এমনকি সংসদ সদস্যরা বলেছেন, ঠিকমতো স্থানীয় প্রশাসন থেকে কিংবা অন্য সরকারি অফিস থেকে সম্মান পান না। তারা যেহেতু নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের কিছু কমিটমেন্ট আছে-এগুলো যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হয়। এটা খুবই দুঃখজনক যে, এগুলোর ওপরে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ হয় না। এটা যেন হয় ডিসিদের সে কথা বলেছি।
গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের শেষ দিনের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা দেশে এলে তারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়। জমি বেদখল হয়ে যায়, ম্যারেজ সার্টিফিকেট পেতে হয়রানির শিকার হয়। পাসপোর্ট পায় না। এসব হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ডিসিরা যাতে দ্রæত প্রবাসীদের সেবা দেন, তারা যাতে হয়রানির শিকার না হয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে ঠিকমতো কাজ হয় না মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক। স্থানীয় প্রশাসন যেগুলো নিজেরাই করতে পারে, সেগুলো অনেক সময় ঢাকায় পাঠিয়ে দেয় এবং নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যায়। ফলে সবাই ঢাকাকেন্দ্রিক হচ্ছেন। এ বিষয়েও সজাগ হতে ডিসিদের বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিসিদের বলেছি, এলাকায় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে।
মোমেনকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাইডেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও তার স্ত্রীকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ও তার স্ত্রী সেলিনা মোমেনকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান জো বাইডেন। এর আগে ড. মোমেন ও তার স্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি বিøঙ্কেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন