বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচক : সোনার বাংলার পেছনে ভারত ও পাকিস্তান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:৫৯ পিএম

অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয়ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অসাধারণ পারফরম্যান্স দেশকে গর্বিত করেছে। পরিসংখ্যানই বলে দেয়, ভারত-পাকিস্তান উভয়ের চেয়ে ভালো ফল করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান যিনি স্নাতক জীবনে ক্যামব্রিজে পড়ার সময় অমর্ত্য সেনের পরম বন্ধু ছিলেন, তিনি সেন্টার ফর পলিসি নিয়ে একটি বক্তব্য রাখেন ২০২১-এর ৬ ডিসেম্বর। যে বক্তব্যের মূল সারাংশ ছিলÑ ‘প্রতিশ্রæতি রাখা এবং তা পালন করার প্রতিশ্রæতি’। স্বাধীনতার প্রাক্কালে পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম শাখার বিপরীতে কোথায় দাঁড়িয়ে ছিল এবং কীভাবে বাংলাদেশ আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পর নিজেকে পাকিস্তানের সাথে তুলনা করে গোটা বিষয়টি সেদিনের আলোচনায় উঠে আসে।

স্বাধীনতার পর পর দেশের মাথাপিছু আয় ৯০ ডলার থেকে বেড়ে এখন ২৫৫৪ ডলার হয়েছে। আগে মাথাপিছু আয় পাকিস্তানের চেয়ে ৬১ শতাংশ পিছিয়ে ছিল, এখন সেটাই ৬৪ শতাংশ বেশি! আজ এর সঞ্চয় অনুপাত পাকিস্তানের প্রায় তিনগুণ এবং বিনিয়োগের অনুপাত দ্বিগুণ। অবকাঠামোর সম্প্রসারণের জোরালো হার, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা যা স্বাধীনতার সময় পশ্চিম পাকিস্তানের পেছনে ছিল গত অর্ধ-শতাব্দীতে সেটাই পাকিস্তানের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের গ্রামীণ সড়কের ঘনত্ব বিশ্বের মধ্যে সব থেকে বেশি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী জিডিপির গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ১৯৭৫-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ৩.২% থেকে বেড়ে হয়েছিল ৪%, কিন্তু ১৯৯০ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বে জিডিপি একধাপে বেড়ে পৌঁছে গেছে ৬.৬%। রফতানি প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে এখন ৪১১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৫ ডলার থেকে বেড়ে এখন প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এই রফতানি বৃদ্ধির চালিকাশক্তি মূলত রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) যা দেশের রফতানি আয়ের প্রায় ৮০%। ৫০ এবং ৬০-এর দশকে ক্রমবর্ধমান খরচের ফলে পশ্চিমা এবং জাপানি আরএমজির দাম বিশ্বব্যাপী বাজারে ধরাছোঁয়ার ছিল, ভারত এবং ব্রাজিল যারা জিএমটিটি (মসঃঃ)-এর সুতি বস্ত্রের সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে মাল্টি-ফাইবার চুক্তি সম্পাদনের জন্য সবচেয়ে বেশি লড়াই করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের মতো ‘স্বল্পোন্নত দেশ’ (এলডিসি) খালি বাজারকে ধরতে সমর্থ হয়েছিল। আরএমজি ইউনিটের তত্ত¡াবধান ও ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ানরা ১৩৪ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে এ গল্পটি শুরু হয়। ১৩৪ জন প্রশিক্ষণার্থী সকলেই নিজস্বভাবে অত্যন্ত সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন। এর পর দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি, ডিজাইন এবং পণ্যের বিকাশে প্রতিভা, শুল্ক সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশ আরএমজি শিল্পের সূচনা করে যা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো তুলনামূলকভাবে উন্নত দেশগুলোতে প্রথমে অস্বীকার করা হয়েছিল। বাংলাদেশি নারীদের মধ্যে সাক্ষরতা ও শিক্ষার ক্রমবর্ধমান মাত্রা দেশের স্বাধীনতার পর রক্ষণশীল মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার বড় পদক্ষেপ। যার জেরে দেশের ৪৭ মিলিয়ন মহিলা আজ গ্রামীণ বাংলাদেশের কুটির শিল্প থেকে বেরিয়ে শহুরে এলাকায় চকচকে নতুন আধুনিক কারখানায় পা রাখতে পেরেছেন। বাংলাদেশি আরএমজি কর্মীদের নিরাপত্তার মান, মজুরি এবং সামাজিক নিরাপত্তার শর্তাবলী নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে প্রচুর সমালোচনা হয়েছিল, কিন্তু যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে এই বিষয়গুলোর সমাধান করা হয়েছে। সরকারি নীতিও ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে। বন্ডেড গুদাম, যেখানে মধ্যবর্তী পণ্যগুলো ৬ মাস পর্যন্ত রাখা যেতে পারে এবং ক্রেডিট লেটারগুলো কার্যকরি মূলধনের প্রয়োজনীয়তাকে অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। সেসঙ্গে নগদের জোগান যা ২৫% থেকে বেড়ে ৩০% হয়েছে। এই সংস্কারের ফলে দেশের তরুণ ব্যবসায়ীরা আরএমজিতে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসছেন। আগে তারা স্টার্টআপ উদ্যোগের জন্য হয়, সরকার নয়তো এনজিওগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতেন। সাবান থেকে প্রসাধনের মতো গৃহস্থালী ব্যবহারের সামগ্রী কিংবা ইস্পাতের মতো ভারী শিল্পে পাঁচ দশকে উৎপাদন ১ লাখ টন থেকে বেড়ে ৮ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে ।

নির্মাণ শিল্পের বৃদ্ধি সিমেন্ট উৎপাদনকে উৎসাহিত করেছে। বেড়েছে চিনি শিল্পের চাহিদা। এমনকি রফতানিমুখী জাহাজ নির্মাণ শিল্পও ডালপালা বিস্তার করেছে। ফলস্বরূপ জিডিপি প্রোফাইল উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, কৃষি ক্ষেত্র দেশের জিডিপিতে পুরো এক-তৃতীয়াংশ অবদান রাখে। ধানমন্ডির মতো পুরনো ঢাকার আবাসিক এলাকাগুলো কার্যত মুছে সেখানে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে উঁচু অফিস এবং উচ্চমানের অ্যাপার্টমেন্ট। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ঝট-এর জেরে বাড়ছে জ্যাম। সাইকেল-রিকশাচালক থেকে শুরু করে পথচারীরা পর্যন্ত মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন যানজটের জেরে। এই নতুন উন্নয়ন এসেছে কৃষির হাত ধরেই। প্রধান খাদ্য চালের উৎপাদন চারগুণ বেড়ে ৪০ কোটি টনে পৌঁছে গেছে; যা গত ৫০ বছরে জনসংখ্যার বৃদ্ধিকে প্রায় ৭৫ মিলিয়ন থেকে ১৭০ মিলিয়নে পৌঁছে দিয়েছে। ফসলের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মাছ রফতানিকারক হিসেবে আবির্ভ‚ত হয়েছে। দেশে ফল ও শাকসবজিও প্রচুর। স্যানিটেশনও অনেক ভালো। কলের পানি বেশিরভাগেরই নাগালের মধ্যে পৌঁছে গেছে। প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। গ্রামীণ-শহুরে জীবনযাত্রার মধ্যে বিভাজন প্রায় নেই। তবে একটি বিষয় এখানে বলতে হয়, স্বাধীনতার সময় যেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রধানত পাটের ওপর নির্ভরশীল ছিল, এখন সেখানে পাটের কথাই বলা হয় না। আগেকার ছোটপাট শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত ও সম্প্রসারণের একটি প্রয়াস যা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে শুরু হয়েছিল তা এখন বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন দ্বারা পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সবুজ পণ্যের উপর বিশ্বব্যাপী প্রচার ধুঁকতে থাকা পাট শিল্পের পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশি শ্রমিকদের রেমিট্যান্স দেশের সমৃদ্ধিতে আরেকটি বড় অবদান। অর্থপ্রবাহ ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪.৭৭ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশিরা কর্মসংস্থানের জন্য এখন যে কোনো জায়গায় যেতে এবং পেশা বেছে নিতে প্রস্তুত। এমনকি ভেনিস সফরে গিয়েও সেখানের রেস্তোরাঁতে আপনি বাংলাদেশি বাবুর্চি দেখতে পাবেন। দেশের দারিদ্র্যসীমা ৭০% থেকে ২৫% এর নিচে নেমে এসেছে। গ্রামে এখন সবাই মাটিতে নয়, চেয়ারে বসেন। কেউ অর্ধনগ্ন হয়ে ঘুরে না, গর্বের সঙ্গে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গ্রামীণ মোল্লাদের প্রচেষ্টা এবং অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের জন্মহার ২.৯৮ থেকে ১.৩-এ কমিয়ে আনা হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউন‚স এবং তার গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে ৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে এ অলৌকিক পরিবর্তন শুরু হয়েছিল। মুহাম্মদ ইউন‚স সেই সময়ে ব্যাখ্যা করেছিলেনÑ ‘দারিদ্র্য গরিব মানুষ তৈরি করে না। এই সিস্টেম দারিদ্র্য সৃষ্টি করে।’ কীভাবে?

ইউন‚স বলেছিলেন, ‘ব্যাংকিং ব্যবস্থা তাদের টাকা দেয় যাদের অনেক টাকা আছে। ধনীরা তাদের কাছে আসে। আমরা গরিবদের কাছে গিয়েছিলাম। ব্যাংক পুরুষদের কাছে গিয়েছিল। আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম দেশের নারীদের কাছে। তারা শহর এলাকায় গেছে। আমরা গ্রামীণ এলাকায় ৩০০০টি শাখা স্থাপন করেছি গ্রামীণ ব্যাংকের। তাদের জন্য মানুষ অনাদায়ী ঋণে ডুবে যাচ্ছে। আর আমরা দরিদ্রদের ওপর বিশ্বাস করেছি এবং আমাদের ঋণের ৯৭% ফেরত পেয়েছি। কারণ আমরা জানি, ব্যাংকগুলো দরিদ্রদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। সমস্ত দরিদ্র উদ্যোক্তারা আমাদের থেকে ৫ ডলার-১০ ডলার পর্যন্ত ছোট ছোট ঋণ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। তাদের কাছে ২০ ডলারও ছিল অনেক বেশি অংকের অর্থ। আমরা দেখেছি যে, মূল চাবিকাঠি হলো অর্থ। অল্প পরিমাণ অর্থই সৃজনশীলতা এবং মাইক্রো-ব্যবসার জন্য ধারণাগুলোকে জাগিয়ে তোলে।’ ইউন‚সের মতে, চাকরি এবং কর্মসংস্থান হলো দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র রাস্তা। এটি ক্ষুদ্র-উদ্যোগ যা সত্যিই দরিদ্রদের দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেয়। ইউন‚স একটি গ্রামীণ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডও স্থাপন করেছেন যেখানে ইক্যুইটি এবং প্রশিক্ষণ দেয়া হয় চাকরি-সৃষ্টিকারীদের, চাকরিপ্রার্থীদের নয়। তার সেøাগানÑ ‘শক্তি হলো মানুষ। আর মানুষ হলো নারী!’ এই জন্যই দেশের মহিলারা ইউন‚সকে সালাম জানান। ইউন‚স বলেছেন : ‘মুক্তিযুদ্ধ সব দরজা খুলে দিয়েছিল। এটা বড় ধাক্কা ছিল, তরুণদের শক্তি উন্মোচন করেছিল’

লিঙ্গ উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে। ইউএনডিপির বহুমাত্রিক দারিদ্র্যসূচক অনুযায়ী পাকিস্তানের দারিদ্র্যের হার ৩৮.৩ শতাংশ, ভারতের ২৭.৯ শতাংশ এবং বাংলাদেশের ২৪.৬ শতাংশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক বলেছেন, শুধু ভারত বা পাকিস্তানের থেকে নয় আরো অনেকের থেকে বাংলাদেশ ভালো আছে। জীবনযাত্রার মান আগের থেকে অনেক বেশি উন্নত হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তবে এই অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের একটি নেতিবাচক দিক রয়েছে : রাজনীতি এবং ব্যবসার মধ্যে ক্রমবর্ধমান আঁতাত। একজন মুক্তিযোদ্ধা মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগের চরিত্র বদলেছে, ‘এটি এখন একটি ব্যবসাভিত্তিক দল’। মাথাচাড়া দিচ্ছে পুঁজিবাদ। ব্যাংক ডিফল্টের জেরে ভালো লোকেরা ক্রমশ জায়গা হারাচ্ছে। ব্যবসার স্বপ্ন ছেড়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করছেন নতুন উদ্যোক্তারা! ক্রোনিজমকে উৎসাহিত করা না হলে পুঁজিবাদ অনেক বেশি সফল হত বলে মনে করেন সেই সমালোচক মুক্তিযোদ্ধা। রেহমান সোবহান তার ৬ ডিসেম্বরের বক্তৃতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (ঋউও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক নিচে রয়েছে’। ক্রমবর্ধমান বৈষম্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। একজন অর্থনীতিবিদ বলছেন, ১৯৭০-এর দশকে সবাই সমানভাবে দরিদ্র ছিল। এখন তা ০.৩০ থেকে ০.৪৫-এর কাছাকাছি হয়েছে।

ব্রাঙ্কো মার্কোভিচের (মার্কোভিচ বৈষম্য নিয়ে লেখালেখি করেন, নিউইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রেসিডেন্সিয়াল প্রফেসর ছিলেন) একটি পর্যবেক্ষণের সঙ্গে বাংলাদেশকে এখন তুলনা করা হচ্ছে। ব্রাঙ্কো মার্কোভিচ বলেছিলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক ব্যবস্থায়, এমনকি একটি গণতন্ত্রেও, ধনীরা বেশি রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখে। বিপদ হলো এই রাজনৈতিক শক্তি এমন নীতির প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হবে যা ধনীদের অর্থনৈতিক শক্তিকে আরও সমৃদ্ধ করবে। বৈষম্য যত বেশি হবে, গণতন্ত্র থেকে তা প্লুটোক্রেসিতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।’ আশঙ্কা হলো, বাংলাদেশ এর মধ্যেই গণতন্ত্র থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে প্লুটোক্রেসির দিকে।
সূত্র : www.telegraphindia.com

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Zubayer Ahmed Sabbir ২১ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:১৯ এএম says : 0
দেশনেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই।
Total Reply(0)
Sobur Khan Collins ২১ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:১৯ এএম says : 0
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই, একমাত্র দেশরত্নের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ।
Total Reply(0)
Misbaur Rahman ২১ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:২০ এএম says : 0
দ্রব্যমূল্যের বর্তমানে যে পরিমাণ ঊর্ধ্বগতি যা আমরা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। অচিরেই এর লাগাম টেনে ধরুন নতুবা দুর্ভিক্ষ অতি নিকটবর্তী।
Total Reply(0)
Shakir Ahmed Shuvro ২১ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:২১ এএম says : 0
বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২১-এ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সূচকে নেপাল ও বাংলাদেশ একই অবস্থানে রয়েছে। তবে সূচক ও স্কোর উভয় ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
Total Reply(0)
MD.zakiul Islam ২১ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:১০ এএম says : 0
গণতন্ত্র হীন দেশে উন্নয়ন টেকস‌ই হয় না । জনগন আগে গনতন্ত্র ফেরত চায় ।
Total Reply(0)
MD.zakiul Islam ২১ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:১১ এএম says : 0
গণতন্ত্র হীন দেশে উন্নয়ন টেকস‌ই হয় না । জনগন আগে গনতন্ত্র ফেরত চায় ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন