বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘বাঘ সংরক্ষণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বিশ্বের ১৩টি বাঘ সমৃদ্ধ দেশকে বাঘ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার বাঘ সংরক্ষণের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে। যৌথ কুয়ালালামপুর বিবৃতি বাস্তবায়ন বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি ও স্থিতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বাঘ সংরক্ষণ বিষয়ক ৪র্থ এশিয়ার মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে গতকাল তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মালয়েশিয়ার পানি, ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি তাকিউদ্দীন বিন হাসান সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এবং ভুটান, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাও পিডিআর, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, নেপাল ও রাশিয়ার মন্ত্রীরা ও সংসদ সদস্য এবং বাঘ সমৃদ্ধ দেশগুলোর প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার অন্যান্য বন্যপ্রাণিসহ আমাদের জাতীয় প্রাণী সংরক্ষণে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও উনড়বতির জন্য সংবিধানে একটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়া বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এ বাঘ শিকারের জন্য ২-৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ মিলিয়ন টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাতীয় বাঘ পুনরুদ্ধার কর্মসূচি (২০১৭-২০২২) এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান (২০১৮-২০২৭) বাস্তবায়ন করছে যার মধ্যে রয়েছে বাঘ জরিপ, জেনেটিক অধ্যয়ন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ড্রোন দ্বারা স্মার্ট টহল ও পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি। এছাড়া সুন্দরবন ও বেঙ্গল টাইগারের সুরক্ষা ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বনমন্ত্রী বলেন, বাঘ-মানব সংঘাত প্রশমিত করতে বাংলাদেশ সরকার ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআরটি), কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটি (সিএমসি) এবং কমিউনিটি পেট্রল গ্রুপ (সিপিজি) গঠন করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বাঘ সংরক্ষণ কার্যμমে নিয়োজিত করেছে। বন্যপ্রাণি শিকার ক্ষতিপূরণ বিধিমালা, ২০২১-এ বাঘের হাতে নিহত ব্যক্তির জন্য ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত দেয়ার বিধান রয়েছে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, অবৈধ বন্যপ্রাণি বাণিজ্য রোধে বন বিভাগের অধীনে ওয়াইল্ডলাইফ μাইম কন্ট্রোল ইউনিট গঠন করা হয়েছে। বন্যপ্রাণি শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সক্ষমতা বাড়াতে শেখ কামাল বন্যপ্রাণি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমরা আমাদের সহযোগিতা জোরদার করেছি এবং ২০১১ সালে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার সংরক্ষণের জন্য একটি প্রটোকল স্বাক্ষর করেছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন