পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেছেন, সারা দেশে নদী ও খাল পুনঃখনন
করা গেলে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে আসবে। ডেলটা প্ল্যানের আওতায় সারাদেশে ৫১২টি খাল পুনঃখনন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আমরা যদি ৬৪ জেলায় ছোট নদী ও খাল খননকাজ শেষ করতে পারি, বর্ষায় এসব নদী ও খালে পানি ধারণক্ষমতা বাড়বে। তিনি গতকাল শুক্রবার কর্ণফুলী উপজেলায় লেংগ্যা-শিকলবাহা চৌমুহনী নয়াহাট খাল পুনঃখনন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডিসেম্ববের মধ্যে প্রথম দফা খাল পুনঃখনন প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারবো। তারপর দ্বিতীয় ধাপে চার হাজার ২৬টি খাল পুনঃখনন হবে। দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু করতে তিন-চার বছর সময় লাগবে। সব কাজ শেষ হলে বর্ষায় উজান থেকে আসা পানির ধারণক্ষমতা বাড়বে। প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, আমরা কর্ণফুলীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিলাম। করোনার জন্য উচ্ছেদের কাজটা স্থগিত রেখেছি। শুধু কর্ণফুলী নয়, সারাদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজটা সাময়িক স্থগিত করে রেখেছি। করোনার প্রভাব কমে আসলে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হবে।
এ সময় কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফারুক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম পৌর বিভাগ-১ এর কর্মকর্তা সিজেন চাকমা, মো. মানজুর এলাহী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন