শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ, আইনি ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০২২, ৫:৪৮ পিএম | আপডেট : ৭:২১ পিএম, ২২ জানুয়ারি, ২০২২

পার্টিগেট কেলেঙ্কারিতে তার পদত্যাগ দাবি করায় টোরি এমপিদের ব্ল্যাকমেইল করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এই অভিযোগে এবার তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।

গুড ল প্রজেক্টের আইনজীবীরা এই পদক্ষেপ নেয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তারা সতর্ক করেছেন যে, বিদ্রোহী এমপিদের নির্বাচনী এলাকা থেকে সরকারি তহবিল আটকানোর অভিযোগ একটি ‘মন্ত্রীর ক্ষমতার বেআইনি অপব্যবহার’ যা সরকারী অফিসে অসদাচরণ হতে পারে।

ডাউনিং স্ট্রিট সিনিয়র টোরি উইলিয়াম র‌্যাগের দাবিগুলি তদন্ত করতে অস্বীকার করার কারণে এই পদক্ষেপটি নেয়ার কথা বলা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে যে, এমপিরা হুইপ দ্বারা ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর দুশ্চিন্তা আরও গভীর হয়েছে কারণ, এটি উঠে এসেছে যে ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মীদের ২০২১ সালের এপ্রিলে ডিউক অফ এডিনবার্গের শেষকৃত্যের আগে গভীর রাতে মদ্যপানের ফটোগ্রাফিক প্রমাণ রয়েছে।

তবে হোয়াইটহল ম্যান্ডারিন স্যু গ্রে আগামী সপ্তাহের শুরুতে ডাউনিং স্ট্রিটে লকডাউনের মধ্যে পার্টি করার অভিযোগে তার প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ করার আগে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ দ্বারা দেখা টেক্সট বার্তাগুলি বিবেচনা করতে পারেন। নতুন প্রমাণগুলি ইঙ্গিত করে যে, মদ্যপান এবং উচ্চস্বরে সঙ্গীত রাত ১ টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। কর্মীরা ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে পিজা খাচ্ছেন, অফিসের প্রিন্টারে ওয়াইন ছিটিয়েছেন এবং জনসনের ছেলে উইল্ফের খেলার স্লাইডে উঠার চেষ্টা করছেন।

এটা নিশ্চিত যে, আগামী সপ্তাহে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হবে। তবে এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিদ্রোহী এমপিরা এখনো সন্দিহান যে, তারা অনাস্থা ভোটে বরিসকে হারাতে পারবেন কি না। ব্রিটেনের পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান অন্তত পাঁচ জন এমপির সঙ্গে কথা বলেছে যাদেরকে সরকার তহবিল কাটছাঁটের হুমকি দিয়েছে। এসব এমপি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এমনকি এমপিদের নিয়ে পত্রিকায় ক্ষতিকর সংবাদ প্রকাশ করারও হুমকি দেয়া হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আশা প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি অনাস্থা ভোটে জয় পাবেন। তার পদত্যাগে নিজ দলের এমপিদের চাপ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করলেন তিনি।

এদিকে ব্রিটেনে এখন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে টোরি দলের হুইপের এমপিদের ব্ল্যাকমেইল করার বিষয়টি। টাইমস জানিয়েছে, এমপিরা হুইপের সঙ্গে তাদের ফোনালাপের বিষয়টি প্রকাশ করার চিন্তা করছেন। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমরা এখনো ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানি না। এরকম কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তা সতর্কতার সঙ্গেই বিবেচনা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বরিসও জানিয়েছেন, হুমকি দেওয়ার কোনো তথ্য তিনি পাননি। তবে বরিসের সমালোচক উইলিয়াম র‌্যাগ দাবি করেছেন, কয়েক জন এমপিকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। তিনি এই অভিযোগের প্রমাণ মন্ত্রী, হুইপ, উপদেষ্টা, স্পিকার এবং পুলিশের কাছে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিরোধী লেবার পার্টিও এই ব্ল্যাকমেইলের নিন্দা জানিয়েছে।

অনাস্থা ভোটের চিঠি প্রত্যাহারে অনেক এমপির ওপর চাপ থাকলেও তা প্রত্যাহার করতে তারা অস্বীকার করেছেন। এদিকে তদন্ত কমিটির আছে একটি ই-মেইল এসেছে যাতে ২০২০ সালের ২০ মে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মার্টিন রেনল্ডসকে মদের পার্টি না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। যদিও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দাবি করেছেন, তিনি আগে সতর্কতার কোনো নোটিশ পাননি। তবে তারই সাবেক উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংস দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করা হয়েছিল। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন